প্রথম অধ্যায়ঃ প্রাত্যহিক জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

১। ভার্চুয়াল অফিসের সুবিধা বর্ণনা কর।
উত্তরঃ- যে অফিসে কর্মকর্তাদের সশরীরে উপস্থিত থাকতে হয় না তাকে ভার্চুয়াল অফিস বলা হয়। সব অফিসকে ভার্চুয়াল অফিসে পরিবর্তিত করা সম্ভাব নাও হতে পারে, যেগুলোকে পরিবর্তন করা  যাবে, সেখানকার মালিকপক্ষ, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সবাই নানা ধরনের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। যেমনঃ- এক্ষেত্রে অফিসের জন্য বড় বিল্ডিং তৈরি করা বা ভাড়া নেওয়র প্রয়োজন হয় না, রাস্তাঘাটের ট্রাফিক জ্যামের সাথে যুদ্ধ করে কাউকে অফিসে আসতে হয় না, বাসায় বসে কাজ করা যায় বলে অফিসের কাজের পাশাপাশি বাসার কাজকর্মও করা সম্ভব। অফিসে গেলে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কাজ করতে হয়-কিন্তু বাসায় বসে কাজ করলে অফিসের সময়ের বাইরেও অনেক কাজ করা সম্ভব। কাজেই এ অফিসের কাজকর্ম সাধারণ অফিস থেকেও বেশি হতে পারে। এ অফিসে কাজ করলে দেশ বা বিদেশের যেকোনো কাজ করা যায়। অর্থাৎ ভার্চুয়াল অফিসের কাজ শুধু নিজ শহর বা নিজ দেশের মধ্যে সমিাবদ্ধ থাকে না, তা হয়ে যায় পুরো পৃথিবীর। তখন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষের সাথে পরিচয় হয়, কাজের ভিন্নতা থাকায় একঘেয়েমির সুযোগও থাকে না। ভার্চুয়াল অফিস মানুষের মধ্যে থাকা সনাতন অফিসের সব ধ্যানধারণায় পরিবর্তন ঘটায়। এ ধরনের অফিসে কাজ করে মানুষ অনেক আয়ের পাশাপাশি অনন্দও পায়।

২। ফেসবুকে কীভাবে ফ্রেন্ড তৈরি হয়? বর্ণনা কর।
উত্তরঃ- ফেসবুকের ফ্রেন্ড বা বন্ধু সাধারণ বন্ধুদের চেয়ে একটু আল্লাদা। এক্ষেত্রে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারীর সাথে অন্য যত ব্যবহারকারীর যোগাযোগ থাকে তারা সবাই বন্ধু। ফেসবুকের মাধ্যমে একজন নিজেকে অন্যের সামনে তুলে ধরে। ফেসবুক বা এ ধরনের সাইটগুলোতে প্রত্যেক ব্যবহারকারী তার পরিচিতিমূলক একটি বিশেষায়িথ ওয়েব পেজ চালু করতে পারেন। একে বলা হয় ব্যবহারকারীর প্রোফাইল। সেখানে ব্যবহারকারী তার বিভিন্ন তথ্য,ভালোলাগা-মন্দলাগার বিষয়গুলো প্রকাশ করেন। এরপর তার প্রোফাইল দেখে অনেকেই তার বন্ধু হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে। কাউকে বন্ধু বানাতে হলে তার নাম লিখে সার্চ দিতে হবে, সেক্ষেত্রে সেই নামের এক বা একাধিক প্রোফাইল পাওয়া যাবে। প্রোফাইল চেক করে তার পরিচিত প্রোফাইলে বন্ধু হওয়ার জন্য অনুরোধ পাঠাতে পারে। যদি ঐ প্রোফাইলধারী ব্যক্তি তার সম্মতি দেয় তাহলেই তারা বন্ধু হয়ে যাবে। এভাবে ফেসবুকে ফ্রেন্ড তৈরি হয়।

৩। ফেসবুক ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা কর।
উত্তরঃ- সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোর মধ্যে ফেসবুক সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত। তাই এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফেসবুক ব্যবহারের বিভিন্ন সুবিধা এবং কিছু সমস্যা আছে। ফেসবুকে মাধ্যমে খুব সহজে পরিচিত-অপরিচিত বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করা যায়। তাদের বিভিন্ন খোঁজখবর নেওয়া যায়। যোগাযোগের অভাবে মানুষের সাথে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফেসবুকে যোগাযোগ থাকলে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার সুযোগ কম। সামনা- সামনি দেখা না কলেও ঘরে বসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া যায়। আজকাল ফেসবুকে অনেক শিক্ষা পেজ রয়েছে, যেখান থেকে বিভিন্ন ধরনের জ্ঞান অর্জন করা যায়; খুব দ্রুত দেশ-বিদেশের সংবাদ পাওযা যায়; পিকচার বা ভিডিও দেখা যায়; প্রয়োজনীয় ফাইল শেয়ার কথা যায়; গুরুত্বপূর্ণ কিচু খবর সবার মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়া যায়। আবার ফেসবুক এখন কম বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেশার মতো হয়ে গয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে তারা পড়ার সময়ে বা পড়তে বসেও ফেসবুক চালায়। ফলে পড়ালেখার ক্ষতি হতে পারে। ফেসবুকে অনেক সময় অপ্রত্যাশিত কিছু পোস্ট সামনে চলে আসতে পারে, যা ব্যবহারকারীকে মানসিকভাবে আহত করতে পারে, অল্প বয়সে অনেক ধরনের অপরাধের সাথে পরিচয় ঘটাতে পারে, খারাপ চরিত্রের মানুষের সাথেও পরিচয় ঘটার সম্ভাবনা থাকে। ফেসবুকে অনেক প্রতারক চক্র থাকে, যেখান থেকে অনেকেই প্রতারিত হতে পারে, যেকোনো মানুষ কর্তৃক খারাপ কাজে উদ্বৃদ্ধও হতে পারে। অনেক তরুণ-তরুণী এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে এতই ব্যস্ত হয়ে পড়ে যে সত্যিকারের যোগাযোগের কথা ভুলে যায়। ফেসবুক তাদেরকে এভাবে অসামাজিক করে তোলে।

৪। কথা বলা ছাড়া আর কী কী কাজে মোবাইল ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ- মাবাইল ফোন শুধু কথা বলার যন্ত্রই নয়, এটি একটি ছোট কম্পিউটার বিশেষ। ছোট একটি যন্ত্রের মধ্যে ক্যামেরা, ভিডিও ক্যামেরা, এমপি থ্রি প্লেয়ার, এফ এম রেডিও ইত্যাদি ঢোকানো থাকে। মোবাইলে সহজেই ইন্টারনেট ব্রাউজিংও করা যায়। এগুলোর মাধ্যমে কথা বলা ছাড়া ছবি তোলা, ভিডিও করা, ভয়েস রেকর্ড করা, গান শোনা, খেলা বা মুভি দেখা, খবর শোনা বা দেখা যায়, কিছু কিছু মোবাইল ফোনে টেলিভিশনও দেখা যায়। মোবাইল ফোনে ই-মেইল করা, চ্যাট করা, ফেসবুক চালানো, ছবি বা ভিডিও প্রকাশ বা শেয়ার করা সম্ভব। মোবাইল ফোনের সাহায্যে স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়, গেমস খেলা যায়। ইদানংি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কৃষিসেবা এবং স্বাস্থ্যসেবাও দেওয়া হচ্ছে। অসবর সময়ে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন গর্ভনমেন্ট ইনফরমেশনগুলো ম্যাসেজ আকারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এ ধরনের ম্যাসেজের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা যায়।

৫। রোবট কীভাবে মানুষের স্থান দখল করছে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্রমোন্নতির ফলে মানুষ অনেক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রোবট তৈরি করতে পেরেছে। এদের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য ও উপাত্ত ইনপুর দিলে তারা নির্দেশমতো কাজ করে দিতে পারে। মানুষ কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যায়Ñএকঘেয়ে কাজ হলে কাজ করতে ইচ্ছেও করে না। কিন্তু রোবটরা ক্লান্ত হয় না, একঘেয়ে কাজ নিয়ে তারা কখনো অভিযোগও করে না। তাই পৃথিবীর বড় বড় কলকারখানায় শ্রমিক হিসেবে আর মানুষ নেই। কাজ করে রোবটরাÑমানুষেরা বড়জোর দেখে কাজটা ঠিকমতো হচ্ছে কি না। একঘরে বিপজ্জনক কাজগুলো মানুষ থেকে রোবটেরা অনেক ভালোভাবে করতে পারে। যেমনÑবড় বড় জাহাজ বানাতে হলে বিশাল বিশাল ধাতব টুকরাকে নির্দিষ্ট আকারে কেটে ওয়েল্ডিং করতে হয়। এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। কারণ ওয়েল্ডিং করার সময় প্রচন্ড তাপের সৃষ্টি হয় এবং ধাতব টুকরা ছিটকে ছিকে পড়ে। যত দিন যাচ্ছে ততই এ ধরনের বিপজ্জনক কাজগুলো মানুষের বদলে মেশিন করছে তথপ্রযুক্তি ব্যবহার করে। তাই বলা যায়, রোবট আসেত আস্তে মানুষের জায়গা দখল করে নিচ্ছে।

৬। আমাদের দেশে রোবট ব্যবহার জরুর-মল্যায়ন কর।
উত্তরঃ- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্রমোন্নতির ফলে মানুষ অনেক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রোবট তৈরি করতে পেরেছে। এদের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য ও উপাত্ত ইনপুট দিলে তারার নির্দেশমতো কাজ করে দিতে পারে। বাংলাদেশ এখন বিশাল বিশাল জাহাজ তৈরি করে পৃথিবীর বড় বড় দেশে রপ্তানি করে। বড় বড় জাহাজ বানাতে হলে বিশাল বিশাল ধাতব টুকরোকে নির্দিষ্ট আকারে কেটে ওয়েল্ডিং করতে হয়। ওয়েল্ডিং থেকে যে তীব্র আলো বের হয় কেউ যদি সোজাসুজি সেদিকে তাকায় তাহলে তার চোখ ক্ষতগ্রস্থ হবে। যারা ওয়েল্ডিং করে তাদের বিশেষ চশমা পরে কাজ করতে হয়। সেখানে প্রচন্ড তাপের সৃষ্টি হয়, ধাতব টুকরো ছিটকে ছিটকে পড়ে। এ ধরনের বিপজ্জনক বা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ উন্ডাস্ট্রিয়াল রোবটরা করলে মানুষের আর এমন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে অংশগ্রহণের প্রয়োজন হবে না। এতে মানুষের ক্ষতি বা প্রাণহানি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। তাই বাংলাদেশে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ শিল্পকারখানায় রোবটের ব্যবহার জরুরি।

৭। কাগজবিহীন অফিস কীভাবে পরিবেশ সংলক্ষণে সহায়ক? বর্ণনা কর। 
উত্তরঃ- ভার্চুয়াল অফিসগুলোতে সবাই কম্পিউটারে কাজ করে, সে অফিসে কাগজে কিছু লিখতে হয় নাÑকম্পিউটারে লিখে একজন আরেকজনের কাছে তা পাঠিয়ে দেয়। কম্পিউটারগুলো নেটওয়াক দিয়ে একটির সাথে আরেকটি যুক্ত থাকে, কাজেই চোখের পলকে সব কাজকর্ম হয়ে যায়। যেকোনো ইনফরমেশন মুহূর্তের মধ্যে যেকোনো জায়গায় পাঠানো যায়। কাগজে কিছু লেখা হয় না বলে কাগজের খরচ বেঁচে যায়। কাগজ তৈরি হয় গাছ থেকে, তাই যখন কাগজ বেঁচে যায় তখন গাছও বেঁচে যায়, পরিবেশটা থাকে অনেক সুন্দর। কাগজে লেখার কালি টোনার ব্যবহার হয় না বলে রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে পরিবেশও দূষণ হয় না। সুতরাং কাগজবিহীন অফিস পরিবেশ সংলক্ষণে সহায়ক।

৮। দাপ্তরিক ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ- ১৯৭৫ সালে বিজনেস উইক নামের একটি ম্যাগাজিনে প্রথম বারের মতো অফিস ব্যবস্থাপনায় তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের ব্যাপারে মত প্রকাশ করা হয়। তখন সেটি ছিল কল্প বিজ্ঞানের মতো। এখন তা বাস্তবে রূপ নিয়েছে। বর্তমানে অফিসের ব্যবস্থাপনা তথ্যপ্রযুক্তি ছাড়া কল্পনাই করা যায় না। আগে অফিসের বড় বড় ফাইল এক অফিস থেকে অন্য অফিসে যেতে দিন পার হয়ে যেতÑনতুন ইলেকট্রনিক ফাইল চোখের পলকে এক অফিস থেকে অন্য অফিসে চলে যেতে পারে। এখন অনেক অফিস পুরোপুরি কাগবিহীন অফিসে পরিণত হয়েছে। সেখানে কম্পিউটারগুলো নেটওয়ার্কের মাধ্যমে একটির সাথে আরেকটি যুক্ত হয়ে আছে। দিন দিন কম্পিউটারের মনিটরগুলো বড় হচ্ছে। তাই সেখানে কিছু পড়ার কাজটিও সহজ হয়েছে। নতুন টপ্রজন্মের অফিস কর্মকর্তারা কাগজে কিছু না লিখে কম্পিউটারে লিখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, কাগজে না পড়ে মনিটরে পড়া অনেক সহজ ও আনন্দদায়ক। অফিসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো হয় টাকাপয়সা বা অ্যাকাউন্টিং সংক্রান্ত। তথ্যপ্রযুক্তির কারণে সেই কাজগুলো এখন আর মানুষকে করতে হয় না-বড় বড় লেজার খাতায় মাথা গুঁজে কিছু লিখতে হয় না, কম্পিউটার মুহূর্তে সবকিছু করে ফেলে।
৯। গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সামাজিক নেটওয়ার্কের ব্যবহার প্রয়োজন কেন?
উত্তরঃ- ফেসবুকে একজন মানুষের সঙ্গে অন্য যত মানুষের যোগাযোগ থাকবে তারা সবাই হচ্ছে তার ‘বন্ধু’। এভাবে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা মিলে গড়ে তোলে সামাজিক নেটওয়ার্ক। এর মাধ্যমে তারা পরস্পর মনের ভাব বিনিময়, মতামত প্রকাশ এবং ধ্যানধারণা ও চিন্তাভাবনা শেয়ার করে। এভাবে পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে সমাজ, দেশ তথা পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে সংঘটিত কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব। ২০১০-১১ সালে আব বিশ্ব, বিশেষ করে তিউনিসিয়া, মিশর, লিবিয়ায় যে সামাজিক বিপ্লব হয়েছে তার পেছনে এসব সামাজিক যোগাযোগ সাইটের বিশেষ ভূমিকা ছিল বলে মনে করা হয়।

১০। বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহারের সুবিধাগুলো আলোচনা কর।
উত্তরঃ- বাংলাদেশে কাগজ ছাড়া সম্পাদন করা সবচেয়ে চমকপ্রদ ও বড় কাজ হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং, মেশিনের ব্যবহার। গণতান্ত্রিক যেকোনো দেশে সবকিছু ঠিক করা হয় নির্বাচনের মাধ্যমে এবং নির্বাচনে ভোট দিতে হয়। ভোট দেওয়ার জন্য প্রয়োজন অনেক ব্যালট পেপার, যেখানে প্রার্থীর না ও মার্কা ছাপা থাকে। ভোটাররা সেখানে সিল মেরে ব্যালট বাক্সে ফেলে এবং নির্বাচন শেষে সেগুলো গুনতে হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি জটিল, ব্যয়বহুল ও কালক্ষেপণকারী। এর জন্য প্রয়োজন প্রচুর জনবল ও অর্থবল। কিন্তু ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে সে ধরনের কোনো সমস্যা নেই, ভোটাররা সরাসরি মেশিনের বোতাম চেপে ভোট দেয় এবং নির্বাচনের সময় শেষ হলে মুহূর্তের মধ্যে ফলাফল বের হয়ে যায়। ফলে সময়ের অপচয় হয় না, কাগজ কালি বেঁচে যায়, পরিবেশটা থাকে সুন্দর ও দূষণমুক্ত। অর্থাৎ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে যেকোনো নির্বাচনের কাজ সম্পন্ন করা বেশ সাশ্রয়ী। তা ছাড়া ভবিষ্যতে ব্যবহার করার জন্য মেশিনগুলো যথাযথভাবে সংলক্ষণও করে রাখা যায়। কাজেই বলা যায় বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উল্লেখ্য, আমাদের দেশে বেশ কয়েখটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন এই মেশিনের মাধ্যমে সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে।  

Post a Comment

  1. Ato boro kore lekar dorkar chilo na. Akto choto kore likhben.

    ReplyDelete