সাধারণ বিজ্ঞান
অধ্যায়-৬: পলিমার
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর: 

প্রিয় শিক্ষার্থী, আজ বিজ্ঞান বিষয়ের অধ্যায়-৬ থেকে একটি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।

# গরমের দিনে আমরা সুতির পোশাক পরিধান করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। আবার শীতের হাত থেকে রক্ষার জন্য পরতে হয় পশম বা উলের পোশাক। বিলাসবহুল বস্ত্রের জন্য ব্যবহার করি রেশমজাত পোশাক। উল্লিখিত তিনটি পোশাকের তন্তুই প্রাকৃতিক পলিমার থেকেই উদ্ভূত।
প্রশ্ন:
ক. তন্তু কী?
খ. উত্স অনুযায়ী তন্তুর শ্রেণিকরণ করো।
গ. উদ্দীপকের ১ম কাপড়ের তন্তুটি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের ২য় ও ৩য় ধরনের কাপড়ের তন্তুর বৈশিষ্ট্যের পার্থক্যের ভিন্নতা বিশ্লেষণ করো।

উত্তর: ক.
তন্তু বলতে আঁশ জাতীয় পদার্থকেই বোঝায়।
উত্তর: খ.
তন্তুকে নিম্নোক্তভাবে শ্রেণিকরণ করা হয়:
উত্তর: গ.
সুতির তন্তুর অভ্যন্তরে বিদ্যমান সরু পদার্থটি প্রাথমিক অবস্থায় ‘লুমেন’ নামক পদার্থ দ্বারা পূর্ণ থাকে। আঁশগুলো ছাড়িয়ে নেওয়ার পর রোদের প্রভাবে শুকিয়ে যায় এবং নলাকৃতি তন্তুটি ধীরে ধীরে চ্যাপ্টা হয়ে ক্রমে একটি মোচড়ানো ফিতার মধ্যে রূপ ধারণ করে। এই ফিতার মতো সুতির আঁশে ১০০ থেকে ২৫০টি পর্যন্ত পাক থাকে। বস্ত্র তৈরির সময় এই পাক খাওয়া অংশ পরস্পরের সঙ্গে সুন্দরভাবে মিশে যায় বলে সুতি বস্ত্র টেকসই হয়। সাধারণ সুতি তন্তু লম্বালম্বিভাবে কিংবা আড়াআড়িভাবে বিরাজ করতে পারে। আড়াআড়িভাবে বিদ্যমান তন্তুগুলোর শিকলগুলো ক্রস সংযোগের মাধ্যমে যুক্ত থাকে।

উত্তর: ঘ.
উদ্দীপকের ২য় ও ৩য় ধরনের কাপড় যথাক্রমে পশম ও রেশম তন্তু দ্বারা তৈরি। রেশম তন্তু দ্বারা বিলাসবহুল বস্ত্র তৈরি হয়। পশম বা উলের পোশাক তাপ কুপরিবাহী বলে শীতবস্ত্র হিসেবে বহুল ব্যবহূত হয়। রেশম তন্তু ও উল তন্তু উভয়েই প্রোটিনজাত। প্রোটিনের মনোমার হচ্ছে সরল অণু অ্যামিনো অ্যাসিড। প্রকৃতিতে প্রাপ্ত ২০টি অ্যামিনো অ্যাসিডের সমন্বয়ে প্রোটিন গঠিত হয়। রেশম প্রধানত ফাইব্রয়েন নামক এক প্রকার প্রোটিন জাতীয় পদার্থ দিয়ে তৈরি। পশমও একধরনের প্রোটিন। কেরাটিন নামক প্রোটিন দিয়ে পশম তন্তু গঠিত হলেও উভয় তন্তুর মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য বিদ্যমান।
রেশম পোকার গুটি থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় এ রেশম তন্তু আহরণ করা হয়। অপরদিকে জীবন্ত মেষ কিংবা মৃত মেষ থেকে যথাক্রমে ‘ফ্লিস উল’ ও ‘পুল্ড উল’ তৈরি করা হয়। উভয় তন্তুতে বিদ্যমান অ্যামিনো অ্যাসিডের সংখ্যা, পলিমার গঠনের প্রক্রিয়ায় অ্যামিনো অ্যাসিডের অণুক্রম এবং পলিমার শিকলের সামগ্রিক গাঠনিক কাঠামো দ্বারা এদের পার্থক্যকরণ ও বৈশিষ্ট্য নির্ধারিত হয়।

Post a Comment