আজ প্রকাশিত হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষার ফল। শিক্ষার্থীদের প্রধান আগ্রহের বুয়েট ভর্তি প্রস্তুতি নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ২০১৪ সালের বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম অনিক সরকার
কোনো সন্দেহ নেই বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা বাংলাদেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সব থেকে বড় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা। বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী অক্টোবরের ১০ বা ১৭ তারিখে। সে হিসেবে এখনো হাতে আছে মাস দুয়েক সময়। মনে রাখবে, এই সময়টা কিন্তু অত্যন্ত স্বল্প। তাই যতটা সম্ভব সেই সময়কে তোমাদের সর্বোচ্চ কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে হবে।
২০১৪ সালের অর্থাৎ গতবারের বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষা হবে মোট ৬০০ নম্বরের। মোট ৬০টি লিখিত প্রশ্ন থাকবে, যেখানে প্রতিটি প্রশ্নের মান ১০ করে। এই ৬০টি লিখিত প্রশ্নের মধ্যে ২০টি করে প্রশ্ন থাকবে গণিত, পদার্থ ও রসায়ন থেকে।
পদার্থবিজ্ঞান: পদার্থবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বলব, বইয়ের প্রতিটি তত্ত্ব ও সূত্রের প্রমাণ মনোযোগ দিয়ে বোঝার চেষ্টা করা উচিত। বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধানের ক্ষেত্রে আমি দেখেছি, পদার্থবিজ্ঞানে প্রায়ই এমন কিছু সমস্যা দিতে দেখা যায়, যেখানে কিনা একই সঙ্গে দু-তিনটি সূত্র প্রয়োগ করে নতুন একটি সূত্রের মাধ্যমে অঙ্ক করতে হয়। তাই এ ক্ষেত্রে আমি বিশেষভাবে বলব, সূত্র একবারে মুখস্থ না করে প্রতিটি সূত্রের স্টেপ বাই স্টেপ বোঝার চেষ্টা করো। এ ছাড়া প্রচুর পরিমাণে সমস্যার সমাধান করে যাও। তবে খুব কঠিন সমাধানগুলো নিয়ে বসে না থেকে বইতে যে সমস্যাগুলো আছে, আগে সেগুলোই নিয়মিত চর্চা করো। আর যখনই যে সমস্যার সমাধান করবে, কনসেপ্ট পরিষ্কার রেখে সমাধান করবে। যে বিষয়গুলো বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত তা হলো: ভেক্টর, দ্বিমাত্রিক গতি, মহাকর্ষ, শব্দের বেগ, পৃষ্ঠটান, তুল্য রোধ (বিশেষত শর্ট সার্কিটসহ সমস্যা), তড়িৎ প্রবাহের চৌম্বক ক্রিয়া, আলোর প্রতিসরণ ও প্রিজম।
গণিত: আমার মতে ভর্তি পরীক্ষায় এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিগত বছরগুলোর প্রশ্ন সমাধানের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এই বিভাগেই সব থেকে বৈচিত্র্যময় এবং অপ্রত্যাশিত প্রশ্ন বেশি আসে। তাই এ ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বেশ বেশি চর্চা করা উচিত। আমার মতে, গণিতে অবশ্যই একটু বেশি সময় দেবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে নিচেরগুলো ভালো করে চর্চা করলে তা কাজে দেবে। •Integration, Probability, Limit, বিন্যাস-সমাবেশ, জটিল সংখ্যার আর্গুমেন্ট, স্থিতিবিদ্যা (বিশেষত লামির উপপাদ্য ও বল ত্রিভুজ-সম্পর্কিত সমস্যা)।
রসায়ন: অস্বীকার করব না, কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলো বুঝতে যাওয়ার থেকে মুখস্থ করা লাগে, তবে তা হতে হবে নিয়মিত চর্চার মধ্য দিয়ে। তাহলে দেখবে জটিল বিষয়গুলোও আয়ত্তে চলে আসবে। প্রতিটি বিক্রিয়ার মেকানিজম ভালো করে বুঝে পড়ার চেষ্টা করবে এবং আলাদা খাতায় গুছিয়ে লিখে রাখা ভালো। আর জৈব রসায়নকে একটু বেশি গুরুত্ব দিয়ো। গুরুত্বপূর্ণ যে টপিকগুলো চর্চা করবে, তা হলো: হাইড্রোকার্বন, অ্যালকোহল, জারণ বিজারণ, অম্ল ক্ষারক সাম্যাবস্থা।
সাধারণ কিছু টিপস: বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর প্রশ্নের নিচেই করতে হয় এবং তার জন্য খুব সীমিত জায়গা বরাদ্দ থাকে। ফলে প্রশ্নের উত্তর যথাসম্ভব সংক্ষেপে করাই শ্রেয় এবং ভাষার বাহুল্য প্রয়োগ একেবারেই করা উচিত নয়। শুরু থেকেই তিনটি বিষয়ের জন্য আলাদা খাতা নিয়ে নাও। প্র্যাকটিস খাতা। ব্যতিক্রমী অঙ্কগুলো আলাদা করে তুলে রেখে বারবার চর্চা করো।
২০১৪ সালের অর্থাৎ গতবারের বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষা হবে মোট ৬০০ নম্বরের। মোট ৬০টি লিখিত প্রশ্ন থাকবে, যেখানে প্রতিটি প্রশ্নের মান ১০ করে। এই ৬০টি লিখিত প্রশ্নের মধ্যে ২০টি করে প্রশ্ন থাকবে গণিত, পদার্থ ও রসায়ন থেকে।
পদার্থবিজ্ঞান: পদার্থবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বলব, বইয়ের প্রতিটি তত্ত্ব ও সূত্রের প্রমাণ মনোযোগ দিয়ে বোঝার চেষ্টা করা উচিত। বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধানের ক্ষেত্রে আমি দেখেছি, পদার্থবিজ্ঞানে প্রায়ই এমন কিছু সমস্যা দিতে দেখা যায়, যেখানে কিনা একই সঙ্গে দু-তিনটি সূত্র প্রয়োগ করে নতুন একটি সূত্রের মাধ্যমে অঙ্ক করতে হয়। তাই এ ক্ষেত্রে আমি বিশেষভাবে বলব, সূত্র একবারে মুখস্থ না করে প্রতিটি সূত্রের স্টেপ বাই স্টেপ বোঝার চেষ্টা করো। এ ছাড়া প্রচুর পরিমাণে সমস্যার সমাধান করে যাও। তবে খুব কঠিন সমাধানগুলো নিয়ে বসে না থেকে বইতে যে সমস্যাগুলো আছে, আগে সেগুলোই নিয়মিত চর্চা করো। আর যখনই যে সমস্যার সমাধান করবে, কনসেপ্ট পরিষ্কার রেখে সমাধান করবে। যে বিষয়গুলো বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত তা হলো: ভেক্টর, দ্বিমাত্রিক গতি, মহাকর্ষ, শব্দের বেগ, পৃষ্ঠটান, তুল্য রোধ (বিশেষত শর্ট সার্কিটসহ সমস্যা), তড়িৎ প্রবাহের চৌম্বক ক্রিয়া, আলোর প্রতিসরণ ও প্রিজম।
গণিত: আমার মতে ভর্তি পরীক্ষায় এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিগত বছরগুলোর প্রশ্ন সমাধানের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এই বিভাগেই সব থেকে বৈচিত্র্যময় এবং অপ্রত্যাশিত প্রশ্ন বেশি আসে। তাই এ ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বেশ বেশি চর্চা করা উচিত। আমার মতে, গণিতে অবশ্যই একটু বেশি সময় দেবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে নিচেরগুলো ভালো করে চর্চা করলে তা কাজে দেবে। •Integration, Probability, Limit, বিন্যাস-সমাবেশ, জটিল সংখ্যার আর্গুমেন্ট, স্থিতিবিদ্যা (বিশেষত লামির উপপাদ্য ও বল ত্রিভুজ-সম্পর্কিত সমস্যা)।
রসায়ন: অস্বীকার করব না, কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলো বুঝতে যাওয়ার থেকে মুখস্থ করা লাগে, তবে তা হতে হবে নিয়মিত চর্চার মধ্য দিয়ে। তাহলে দেখবে জটিল বিষয়গুলোও আয়ত্তে চলে আসবে। প্রতিটি বিক্রিয়ার মেকানিজম ভালো করে বুঝে পড়ার চেষ্টা করবে এবং আলাদা খাতায় গুছিয়ে লিখে রাখা ভালো। আর জৈব রসায়নকে একটু বেশি গুরুত্ব দিয়ো। গুরুত্বপূর্ণ যে টপিকগুলো চর্চা করবে, তা হলো: হাইড্রোকার্বন, অ্যালকোহল, জারণ বিজারণ, অম্ল ক্ষারক সাম্যাবস্থা।
সাধারণ কিছু টিপস: বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর প্রশ্নের নিচেই করতে হয় এবং তার জন্য খুব সীমিত জায়গা বরাদ্দ থাকে। ফলে প্রশ্নের উত্তর যথাসম্ভব সংক্ষেপে করাই শ্রেয় এবং ভাষার বাহুল্য প্রয়োগ একেবারেই করা উচিত নয়। শুরু থেকেই তিনটি বিষয়ের জন্য আলাদা খাতা নিয়ে নাও। প্র্যাকটিস খাতা। ব্যতিক্রমী অঙ্কগুলো আলাদা করে তুলে রেখে বারবার চর্চা করো।
প্রতিটি চ্যাপ্টার শেষে প্রশ্নব্যাংক সমাধান করে ফেলবে। মূল বইকে প্রাধান্য দিয়ে আগে শেষ করো। তারপর সহায়ক বই হিসেবে অন্যান্য বইগুলো দেখতে পারো। যে অঙ্কই করো না কেন, সব খাতায় লিখে বারবার প্র্যাকটিস করো। যেকোনো এক লেখকের বই সম্পূর্ণ শেষ করে তারপর ভিন্ন লেখকের বইয়ের অপরিচিত অঙ্কগুলো করা ভালো হবে। আরেকটা জরুরি কথা, বুয়েটের জন্য প্রস্তুতি অন্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রস্তুতিতেও কাজে লাগে। তোমাদের জন্য শুভকামনা।
অনিক সরকার: ২০১৪ সালের বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায়
প্রথম স্থান অধিকারী।
অনিক সরকার: ২০১৪ সালের বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায়
প্রথম স্থান অধিকারী।
সংগ্রহ- প্রথম আলো
Post a Comment