আজও তোমাদের জন্য দ্বিতীয় অধ্যায় কমিউনিকেশন সিস্টেমস ও নেটওয়ার্কিং থেকে একটি প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করা হলো। এ অধ্যায়টি গুরুত্ব সহকারে পড়বে।
প্রশ্ন-১. কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলতে কী বুঝায়? এ সম্পর্কে বর্ণনা দাও।
উত্তর : কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থা যাতে দুই বা ততধিক কম্পিউটার একসঙ্গে যুক্ত থাকে। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীরা ফাইল, প্রিন্টার ও অন্যান্য বিভিন্ন রিসোর্স ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে পারে। একজন অন্যজনের কাছে বার্তা পাঠাতে পারে এবং এক কম্পিউটারে বসে অন্য কম্পিউটারে প্রোগ্রাম চালাতে পারে। তারবিহীন ব্যবস্থায় রেডিও ওয়েভ, মাইক্রোওয়েভ, স্যাটেলাইট প্রভৃতি ব্যবহার করে করা যায়।
একটি নেটওয়ার্কে মূলত তিনটি উপাদান থাকে। যথা-
১. অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার
২. নেটওয়ার্ক সফটওয়্যার এবং
৩. নেটওয়ার্ক হার্ডওয়্যার।
নিচে বর্ণনা দেয়া হলো
১. অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার : অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার হচ্ছে কতকগুলো ইন্টারফেস প্রোগ্রামের সমষ্টি যার মাধ্যমে কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নেটওয়ার্কে বিদ্যমান বিভিন্ন সম্পদ ভাগাভাগি করতে পারে। এটি ক্লায়েন্ট-সার্ভার কিংবা পেয়ার-টু-পেয়ার প্রকৃতির হতে পারে।
২. নেটওয়ার্ক সফটওয়্যার : নেটওয়ার্ক সফটওয়্যার হচ্ছে কতগুলো প্রোগ্রামের সমষ্টি যা নেটওয়ার্ক ব্যবহারের নিয়ম বা প্রোটোকল স্থাপন করে, যার ভিত্তিতে একটি কম্পিউটার আরেকটি কম্পিউটারের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করে। ফরমেটকৃত নির্দেশাবলি তথা প্যাকেটগুলো আদান-প্রদান করে প্রোটোকলগুলো রক্ষা করা হয়। প্রটোকলগুলো দুই কম্পিউটারের নেটওয়ার্ক অ্যাপ্লিকেশনগুলোর মধ্যে যৌক্তিক সংযোগ সৃষ্টি করে, ভৌত নেটওয়ার্কের ভেতর দিয়ে প্যাকেট পরিচালনা করে এবং একই সময়ে পাঠানো প্যাকেটের মধ্যে সংঘর্ষের সম্ভাবনা যথাসম্ভব কমানোর চেষ্টা করে।
৩. নেটওয়ার্ক হার্ডওয়্যার : যেসব ভৌত যন্ত্রাংশ বা উপাদান একাধিক কম্পিউটারকে সংযুক্ত করে, তাদের একত্রে নেটওয়ার্ক হার্ডওয়্যার বলা হয়। এদের মধ্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো কম্পিউটারের সিগন্যাল বহনকারী ট্রান্সমিশন মাধ্যম এবং নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার। ট্রান্সমিশন মাধ্যম সাধারণত তার বা অপটিক্যাল ফাইবারে তৈরি। নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টারের কাজ ট্রান্সমিশন মাধ্যম ও নেটওয়ার্ক সফটওয়্যারের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করা।
Post a Comment