সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর: অধ্যায়-৭
প্রিয় শিক্ষার্থী, আজ বিজ্ঞান বিষয়ের অধ্যায়-৭ থেকে সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।
# ‘A’ একটি খনিজ অ্যাসিড, যা সালফেট লবণ উত্পাদনে ব্যবহূত হয়। সক্রিয় ধাতুগুলো এর সংস্পর্শে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে লবণ উত্পন্ন করে।
প্রশ্ন:
ক. বেকিং সোডার রাসায়নিক নাম কী?
খ. পাউরুটিতে বেকিং সোডার রাসায়নিক পরিবর্তন সমীকরণের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত অ্যাসিডটি কেন ক্ষতিকর? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘A’ শ্রেণির যৌগগুলোর অপব্যবহার রোধে তোমার করণীয় কী? উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।
উত্তর: ক.
বেকিং সোডার রাসায়নিক নাম সোডিয়াম হাইড্রোজেন কার্বনেট।
উত্তর: খ.
পাউরুটিতে ব্যবহূত বেকিং সোডা (NaHCO3) তাপে বিয়োজিত হয়ে সোডিয়াম কার্বনেট, জলীয় বাষ্প এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস সৃষ্টি করে। বিক্রিয়ায় উত্পন্ন কার্বন ডাই-অক্সাইড পাউরুটিকে ফুলাতে সাহায্য করে। বিক্রিয়ার সমীকরণ নিম্নরূপ: 2NaHCO3Na2CO3+H2O+CO2
উত্তর: গ.
.উদ্দীপকে উল্লিখিত অ্যাসিডকে বিভিন্ন সালফেট লবণ যেমন Na2SO4, CaSO4, FeSO4 প্রভৃতি তৈরিতে ব্যবহূত হয় এবং এটি একটি খনিজ অ্যাসিড । অর্থাত্ উদ্দীপকে উল্লিখিত অম্লটি সালফিউরিক অ্যাসিড (H2SO4)।
সালফিউরিক অ্যাসিডের সবচেয়ে ভয়াবহ এবং মারাত্মক দিক হলো আমাদের শরীরে কোথাও এ অ্যাসিড লাগলে সেই স্থান পুড়ে যায় এবং স্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি করে। তাই উত্তেজনার বশবর্তী হয়ে বা শত্রুতাবশত কেউ অ্যাসিড ছুড়ে মারলে আক্রান্ত ব্যক্তির অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়। আর অপরাধী ব্যক্তির বাংলাদেশ নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ১৯৯৫ অনুযায়ী যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি হতে পারে।
উত্তর: ঘ.
‘A’ যৌগটি একটি অ্যাসিড। অ্যাসিডের অপব্যবহার ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন তথা মানবজীবনের জন্য ক্ষতিকর এবং হুমকিস্বরূপ। তাই এর প্রতিকার অনস্বীকার্য। আর এর উল্লেখযোগ্য উপায়গুলো নিম্নরূপ:
১. অ্যাসিডের সহজপ্রাপ্যতা রোধ করতে হবে। যেন কোনো সন্ত্রাসী ইচ্ছা করলেই সংগ্রহ করতে না পারে। এ ক্ষেত্রে অ্যাসিড ব্যবহারকারীদের অধিক সচেতন হতে হবে।
২. অ্যাসিড সন্ত্রাসের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৩. সর্বস্তরের শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। শিক্ষার পাঠ্যক্রমে অ্যাসিড নিক্ষেপকে একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে এর বিরুদ্ধে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৪. অ্যাসিডের ভয়াবহতা শ্রেণিকক্ষে আলোচনা করতে হবে। এ বিষয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা এবং তাতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। সবাইকে অনুধাবন করতে হবে যে ‘অ্যাসিড সন্ত্রাস একটি নিকৃষ্টতম অপরাধ’।
৫. কোনো ব্যক্তি অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার হলে তাত্ক্ষণিক আক্রান্ত স্থানে প্রচুর পরিমাণে পানি ঢালতে হবে যেন অ্যাসিডটি লঘু থেকে লঘুতর হয়ে যায়। ফলে কম ক্ষতিসাধন হবে। এককথায় আমরা শ্রেণিকক্ষ থেকে শুরু করে সর্বত্র অ্যাসিড অপব্যবহারের ভয়াবহতা সম্পর্কিত জনমত গড়ে তুলে তা রোধ করতে পারি।
প্রিয় শিক্ষার্থী, আজ বিজ্ঞান বিষয়ের অধ্যায়-৭ থেকে সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।
# ‘A’ একটি খনিজ অ্যাসিড, যা সালফেট লবণ উত্পাদনে ব্যবহূত হয়। সক্রিয় ধাতুগুলো এর সংস্পর্শে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে লবণ উত্পন্ন করে।
প্রশ্ন:
ক. বেকিং সোডার রাসায়নিক নাম কী?
খ. পাউরুটিতে বেকিং সোডার রাসায়নিক পরিবর্তন সমীকরণের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত অ্যাসিডটি কেন ক্ষতিকর? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘A’ শ্রেণির যৌগগুলোর অপব্যবহার রোধে তোমার করণীয় কী? উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।
উত্তর: ক.
বেকিং সোডার রাসায়নিক নাম সোডিয়াম হাইড্রোজেন কার্বনেট।
উত্তর: খ.
পাউরুটিতে ব্যবহূত বেকিং সোডা (NaHCO3) তাপে বিয়োজিত হয়ে সোডিয়াম কার্বনেট, জলীয় বাষ্প এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস সৃষ্টি করে। বিক্রিয়ায় উত্পন্ন কার্বন ডাই-অক্সাইড পাউরুটিকে ফুলাতে সাহায্য করে। বিক্রিয়ার সমীকরণ নিম্নরূপ: 2NaHCO3Na2CO3+H2O+CO2
উত্তর: গ.
.উদ্দীপকে উল্লিখিত অ্যাসিডকে বিভিন্ন সালফেট লবণ যেমন Na2SO4, CaSO4, FeSO4 প্রভৃতি তৈরিতে ব্যবহূত হয় এবং এটি একটি খনিজ অ্যাসিড । অর্থাত্ উদ্দীপকে উল্লিখিত অম্লটি সালফিউরিক অ্যাসিড (H2SO4)।
সালফিউরিক অ্যাসিডের সবচেয়ে ভয়াবহ এবং মারাত্মক দিক হলো আমাদের শরীরে কোথাও এ অ্যাসিড লাগলে সেই স্থান পুড়ে যায় এবং স্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি করে। তাই উত্তেজনার বশবর্তী হয়ে বা শত্রুতাবশত কেউ অ্যাসিড ছুড়ে মারলে আক্রান্ত ব্যক্তির অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়। আর অপরাধী ব্যক্তির বাংলাদেশ নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ১৯৯৫ অনুযায়ী যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি হতে পারে।
উত্তর: ঘ.
‘A’ যৌগটি একটি অ্যাসিড। অ্যাসিডের অপব্যবহার ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন তথা মানবজীবনের জন্য ক্ষতিকর এবং হুমকিস্বরূপ। তাই এর প্রতিকার অনস্বীকার্য। আর এর উল্লেখযোগ্য উপায়গুলো নিম্নরূপ:
১. অ্যাসিডের সহজপ্রাপ্যতা রোধ করতে হবে। যেন কোনো সন্ত্রাসী ইচ্ছা করলেই সংগ্রহ করতে না পারে। এ ক্ষেত্রে অ্যাসিড ব্যবহারকারীদের অধিক সচেতন হতে হবে।
২. অ্যাসিড সন্ত্রাসের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৩. সর্বস্তরের শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। শিক্ষার পাঠ্যক্রমে অ্যাসিড নিক্ষেপকে একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে এর বিরুদ্ধে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৪. অ্যাসিডের ভয়াবহতা শ্রেণিকক্ষে আলোচনা করতে হবে। এ বিষয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা এবং তাতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। সবাইকে অনুধাবন করতে হবে যে ‘অ্যাসিড সন্ত্রাস একটি নিকৃষ্টতম অপরাধ’।
৫. কোনো ব্যক্তি অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার হলে তাত্ক্ষণিক আক্রান্ত স্থানে প্রচুর পরিমাণে পানি ঢালতে হবে যেন অ্যাসিডটি লঘু থেকে লঘুতর হয়ে যায়। ফলে কম ক্ষতিসাধন হবে। এককথায় আমরা শ্রেণিকক্ষ থেকে শুরু করে সর্বত্র অ্যাসিড অপব্যবহারের ভয়াবহতা সম্পর্কিত জনমত গড়ে তুলে তা রোধ করতে পারি।
Post a Comment