পাঠ্যবই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ: যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন
বাংলাদেশের বুক চিরে বয়ে গেছে অনেক নদী। ছবি: জগলুল পাশা রুশোপ্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর প্রিয় পরীক্ষার্থী, বাংলা বিষয়ের ৫, ৬ ও ৭ নম্বর প্রশ্নগুলো থাকবে তোমার পাঠ্যবইয়ের বাইরের অনুচ্ছেদ থেকে। এ প্রশ্নগুলো সম্পূর্ণ যোগ্যতাভিত্তিক। আজ তোমাদের জন্য দেয়া হলো একটি নমুনা অনুচ্ছেদ ও প্রশ্নোত্তর।


# নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫, ৬ ও ৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:
প্রকৃতির রূপসী কন্যা আমাদের এই বাংলাদেশ। এ দেশের নদী, মাঠ, অরণ্য আর পাহাড়ের রূপ দেখে আমরা মুগ্ধ হই। এ দেশের দিগন্তজোড়া ফসলের খেত। দখিনা বাতাসে দোলে মাঠের ফসল। সবুজ মাঠের বুক চিরে বয়ে গেছে অসংখ্য নদী। তার স্বচ্ছ পানির নিচে চিকচিক করে রূপালী বালি। বনে, পাহাড়ে বাস করে নানা ধরনের জীবজন্তু। গাছে গাছে উড়ে বেড়ায় রংবেরঙের হাজারো পাখি। তাদের কলকাকলিতে আমাদের মন আনন্দে ভরে যায়। এছাড়া এ দেশে রয়েছে ঘন সবুজঘেরা পাহাড়ি টিলা। সেখানে বাস করে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষ। তারা টিলার ওপর ছোট ছোট ঘর বাঁধে এবং সেখানেই বাস করে। এই দেশ আমাদের জননীর মতো। আলো, বাতাস ও সম্পদ দিয়ে আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। আমরা ভালোবাসি এই দেশ, ভালোবাসি এই দেশের মাটি ও মানুষকে।
৫। সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখো:

ক. প্রদত্ত অনুচ্ছেদটি মূলত যে বিষয় নিয়ে লেখা, তাহলো—
১. আমাদের গ্রাম ২. আমাদের নদী ৩. আমাদের এই দেশ ৪. এই দেশ এই মানুষ
খ. বাংলাদেশকে বলা হয়—
১. নদীর দেশ ২. পাহাড়ের দেশ ৩. সাগরকন্যা ৪. প্রকৃতির রূপসী কন্যা
গ. ‘স্বচ্ছ’ শব্দটিতে বর্ণ আছে—
১. একটি ২. দুটি ৩. তিনটি ৪. চারটি
ঘ. বাংলাদেশের মানুষ পাখি পছন্দ করে, কারণ—
১. পাখি উড়ে বেড়ায় ২. পাখির কলকাকলিতে হূদয় আনন্দে ভরে যায় ৩. পাখি সহজে পোষ মানে ৪. পাখি রঙবেরঙের ডানা মেলে গাছে গাছে ঘুরে বেড়ায়
ঙ. বন, পাহাড় ছাড়া আর যেখানে জীবজন্তু দেখা যায়—
১. গ্রামে ২. জাদুঘরে ৩. চিড়িয়াখানায় ৪. পার্কে।
৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর:
ক. ৩. আমাদের এই দেশ খ. ৪. প্রকৃতির রূপসী কন্যা গ. ৪. চারটি ঘ. ২. পাখির কলকাকলিতে হূদয় আনন্দে ভরে যায় ঙ. ৩. চিড়িয়াখানায়।
৬। নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ করো।
শব্দ শব্দার্থ শব্দ শব্দার্থ
বাতাস বায়ু স্বচ্ছ অতি নির্মল
অরণ্য বন দিগন্ত দিকের শেষ
কলকাকলি পাখির ডাক হূদয় অন্তর
ক. সকালবেলা পাখির — শুনতে ভালো লাগে।
খ. — ওপারে কী আছে, কেউ জানে না।
গ. গভীর — সিংহ হুংকার দিলে মানুষের মনে ভয় জাগে। ঘ. করিম সাহেবের প্রতিটি কাজ —।
ঙ. শীতকালে উত্তর দিক থেকে — বইতে থাকে।
৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর:
ক. সকালবেলা পাখির কলকাকলি শুনতে ভালো লাগে।
খ. দিগন্তের ওপারে কী আছে, কেউ জানে না।
গ. গভীর অরণ্যে সিংহ হুংকার দিলে মানুষের মনে ভয় জাগে। ঘ. করিম সাহেবের প্রতিটি কাজ স্বচ্ছ।
ঙ. শীতকালে উত্তর দিক থেকে বাতাস বইতে থাকে।
৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখো:
ক. বাংলাদেশকে প্রকৃতির রূপসী কন্যা বলা হয় কেন? পাঁচটি বাক্যে লেখো।
খ. তোমার পরিচিত বাংলাদেশের পাঁচটি পাখির নাম লেখো।
গ. কোন পাখিকে গানের পাখি বলা হয় এবং কেন? ৫টি বাক্যে লেখ।
৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর:
(ক)
বাংলাদেশকে কেন প্রকৃতির রূপসী কন্যা বলা হয়, তা পাঁচটি বাক্যে লেখা হলো:
বাংলাদেশের নদী, মাঠ, অরণ্য আর পাহাড়ের রূপ দেখে আমরা মুগ্ধ হই। এ দেশের দিগন্তজোড়া রয়েছে ফসলের খেত। দখিনা বাতাসে দোলে এ দেশের মাঠের নানা ফসল। বাংলাদেশের সবুজ মাঠের বুক চিরে বয়ে গেছে অসংখ্য নদ-নদী। এ দেশের বনে-পাহাড়ে নানা জীবজন্তু বসবাসের পাশাপাশি গাছে গাছে উড়ে বেড়ায় নানা রঙের পাখি।
(খ)
আমার পরিচিত পাঁচটি পাখির নাম নিচে লেখা হলো:
১. দোয়েল ২. কোকিল ৩. ময়না ৪. টিয়া ৫. চড়ুই।
(গ)
কোকিলকে গানের পাখি বলা হয়ে থাকে। বসন্ত ঋতুর শুরুতে আমরা কোকিলের কুহূতান শুনতে পাই। কোকিলের কুহূতান প্রকৃতিকে আলোড়িত করে। নির্জন দুপুরে কোকিল তার মধুর কণ্ঠের সুর ছড়িয়ে দেয় চারিদিকে। কোকিলের সুমধুর গান ঋতুরাজ বসন্তকে আরো মোহনীয় করে তোলে। তাই কোকিলকে গানের পাখি বলা হয়ে থাকে।

Post a Comment