বালি(Sand)                          
১) বালির সংক্ষিপ্ত পরিচিতি বর্ণনা কর ?
উত্তরঃ-
বালি একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্মান সামগ্রি এবং এটি পূরক পদার্থ হিসাবে ব্যবহৃত হয় । প্রকৃতিতে প্রাপ্ত বালি আবহাওয়াজনিত কারণে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে থাকে । শিলার ক্ষয়প্রাপ্তি আ বিচুর্ণন হতে সৃষ্ট কোণাকৃতি বা গোলাকার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণার সমষ্টি হল বালি । বালি সিলিকার বিষেশরুপ এবং বালুকাত্বক. মৃত্তিকাত্বক ও চূর্ণক শ্রেণীর উপাদানগত হতে পারে ।
প্রাকৃতিতে বিভিন্ন প্রকার ও আকারের বালি পাওয়া যায় । যেমন:- কোনাকার, গোলাকৃতির ও ধারালো । ক্ষয়প্রাপ্ততার উপর নির্ভর করে বালির আকার ও আকৃতি ভিন্ন হয়ে থাকে ।
২) উৎস ও আকার অনুযায়ী বালির শ্রেণিবিণ্যাস কর ?
উত্তরঃ-
উৎস অনুসারে বালিকে তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয় ।
যথাঃ-
a) গর্তের বালি (Pit Sand)
b) নদীর বালি (River Sand)
c) সমুদ্রের বালি (Sea Sand)
দানার আকার অনুসারে বালিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয় । যথাঃ-
1) মিহি বা চিকন দানার বালি (Fine Sand)
2) মধ্যম দানার বালি (Medium Sand)
3) মোটা বা স্থুল দানার বালি (Coarse Sand)
৩) বালিতে কি কি ক্ষতিকারক পদার্থ থাকতে পারে ?
উত্তরঃ-
উৎস হতে প্রাপ্ত বালি সরাসরি ব্যবহার করা উচিত নয় । কেননা এতে বিভিন্ন প্রকার ক্ষতিকারক পদার্থ থাকতে পারে । যথাঃ-
i. কাদা ও পলিকণা
ii. উদ্ভিদজাত জৈব পদার্থ
iii. লবণ ।।
৪) বালি কি কি কাজে ব্যবহার করা হয় ?
উত্তরঃ-
বালি নির্মান সামগ্রীর মধ্যে অন্যতম প্রধান উপকরণ । বালির বিভিন্ন প্রকারের ব্যবহার নিচে দেওয়া হলো ঃ-
i. গাঁথুনির মসলা তৈরির কাজে ।
ii. দেয়ালের গায়ে প্লাস্টারিং, পয়েন্টিং এর কাজে ।
iii. যেকোনো প্রকারের কংক্রিট তৈরির কাজে ।
iv. শীট ও গ্লাস তৈরির কাজে ।
v. যেকোনো স্থানে সলিং তৈরির কাজে ।
vi. বিটুমিনাস রাস্তার সিলিকোটের উপর প্রয়োগের কাজে ।
৫) বালির আয়তন স্ফিতি(Bulking of sand) কী ?
উত্তরঃ-
পানির পরিমান হ্রাস বৃদ্ধিতে বালির আয়তনের বিশেষ পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় । এমনকি বালিতে উহার ওজনের ৪-৫% পানি থাকলে উহার আয়তন ২০-২৫% বৃদ্ধি পায় । শুষ্ক বালিতে পানি দিলে উহার আয়তন বৃদ্ধি পায় । তাকে বালির আয়তন স্ফিতি বলে ।

বালির আয়তন স্ফিতি= (ভেজা আয়তন ÷ শুষ্ক আয়তন) × 100= ……%

Post a Comment