প্রিয় পরীক্ষার্থী, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমী (নেপ)-এর চূড়ান্ত প্রশ্নকাঠামো অনুসারে বাংলা বিষয়ের ১৫ নম্বর প্রশ্নটি থাকবে ‘রচনা লেখো’। সংকেতসহ ৪টি রচনার শিরোনাম দেওয়া থাকবে, ১টির উত্তর লিখতে হবে। নিচে দুটি নমুনা রচনা দেওয়া হলো।
পরিবেশদূষণ: আমাদের এই পরিবেশ দুষণের জন্য মূলত মানুষই দায়ী। আধুনিক জীবনযাত্রার দিকে আমরা যত এগোচ্ছি, ততই আমরা পরিবেশদূষণের ক্ষেত্র তৈরি করছি। তবে বর্ধিত জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে গিয়েও দূষণ ঘটছে। প্রতিদিন বিভিন্নভাবে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—শব্দদূষণ, বায়ুদূষণ, পানিদূষণ, মাটিদূষণ প্রভৃতি।
শব্দদূষণ: শব্দদূষণ আজকাল পরিবেশদূষণের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যানবাহনের হর্ন ও শব্দ, রেডিও-টেলিভিশনের আওয়াজ, মাইকের আওয়াজ, কলকারখানার শব্দ ইত্যাদি শব্দদূষণের মূল উত্স। অসহনীয় মাত্রার শব্দদূষণে মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব এমনকি উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
বায়ুদূষণ: আমাদের বেঁচে থাকার অন্যতম উপাদান হচ্ছে বায়ু। বিভিন্নভাবে কার্বন ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, মিথেন ইত্যাদি বেশি মাত্রায় মিশে এই বায়ু দূষিত হচ্ছে। বেশি বেশি কলকারখানা স্থাপন এবং তা থেকে নির্গত কার্বন ডাই-অক্সাইড বায়ুতে মিশছে। এছাড়া ইটের ভাটার কালো ধোঁয়া, যানবাহনের অতি কালো ধোঁয়া এবং এর পাশাপাশি বৃক্ষ নিধন, বন উজাড়ও বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ।
পানিদূষণ: কলকারখানার বর্জ্য, রাসায়নিক বর্জ্য, ক্লিনিক্যাল বর্জ্য, জমিতে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের মিশ্রণ, পেট্রোলিয়াম পদার্থের মিশ্রণ ছাড়াও পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় আর্সেনিক দূষণ হচ্ছে পানিদূষণের অন্যতম কারণ। মনে রাখা দরকার, পানি জীবন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার অন্যতম উপাদান।
মাটিদূষণ: জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, নগর আবর্জনা, রাসায়নিক সার, কীটনাশক, শিল্প-আবর্জনা প্রভৃতি মিশে মাটিকে দূষিত করে। এ ছাড়া পচনহীন প্লাস্টিক ও পলিথিন মাটি দূষণের অন্যতম কারণ। মনে রাখা দরকার, মাটিই কিন্তু আমাদের জীবনধারণের উপকরণাদি জোগান দেয়।
দূষণের কারণ : ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদা মেটানো, বন ও বৃক্ষ ধ্বংস, অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও শিল্পায়ন পরিবেশদূষণের প্রধান কারণ। পরিবেশ যত দূষিত হবে, জীববৈচিত্র্য তত সমস্যার সম্মুখীন হবে।
পরিবেশদূষণ রোধের উপায়: বিশ্বব্যাপী পরিবেশদূষণের ভয়াবহতা কমিয়ে আনা এবং দূষণরোধে আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার। কারণ এটি আজ বিশ্ব আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।
উপসংহার: আমাদের এই পরিবেশ আমাদেরই রক্ষা করতে হবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব পরিবেশ সুরক্ষায় আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্বের সাথে সাথে নিজ নিজ অবলম্বন থেকে পরিবেশদূষণ রোধে কাজ করে যেতে হবে।
ষড়ঋতুর পালাবদলে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপরূপ। বিভিন্ন ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন রূপ সৌন্দর্য আর কোথাও দেখা যায় না। তাই তো কবি বলেছেন,
‘বাংলার মুখ দেখিয়াছি আমি
পৃথিবীর রূপ দেখিতে চাই না আর’
ঋতু: ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। দুমাস নিয়ে একটি ঋতু। ঋতুগুলো হচ্ছে: গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরত্, হেমন্ত, শীত, বসন্ত।
গ্রীষ্ম: বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ নিয়ে গ্রীষ্মকাল। পুরোনোকে ফেলে নতুনের আহ্বান নিয়ে আসে এ ঋতু। প্রচণ্ড দাবদাহ দেখা দেয়। নানা ফলের পসরা সাজায় এ ঋতু। মাঝে মাঝে কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতিও হয়।
বর্ষা: চারদিকে থই থই পানিতে ভরে তোলে বর্ষা ঋতু। আষাঢ়-শ্রাবণ এ দুমাস নিয়ে বর্ষাকাল। কখনো একটানা দিন রাত, কখনো থেমে থেমে রিমঝিম বৃষ্টি নামে। বর্ষায় কদম-কেয়া ফোটে। এ সময় মাছ পাওয়া যায় প্রচুর। বর্ষা ময়লা-আবর্জনা ধুয়ে নিয়ে যায়।
শরত্: নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা ভাসায় শরত্ ঋতু। নদীর ধারে কাশফুল ফোটে। সাদায় সাদায় এক সুন্দর দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। ভাদ্র-আশ্বিন নিয়ে শরত্কাল।
হেমন্ত: নতুন ধানের নবান্ন উত্সবে মেতে ওঠে সবাই। কার্তিক-অগ্রহায়ণ নিয়ে হেমন্তকাল।
শীত: হিম ঠাণ্ডাকে নিয়ে আসে শীতকাল। পৌষ-মাঘ নিয়ে শীত ঋতু। প্রকৃতি জীর্ণ-শীর্ণ হয়ে যায়। খেজুরের রসে পায়েস-পিঠার উত্সবে মেতে ওঠে সবাই।
বসন্ত: গাছে গাছে কচি সবুজ পাতা ভরে যায়। মৌ-এর গুনগুনানি আর কোকিলের কুহুতান হূদয়ে জাগায় আনন্দ। বসন্ত ঋতুর রাজা।
উপসংহার: ছয় ঋতুর অপরূপ দৃশ্যে জেগে ওঠে মনে, এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে না’কো তুমি...।
পরিবেশদূষণ
সূচনা: আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে, তা নিয়েই আমাদের পরিবেশ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে আমাদের এই পরিবেশ ক্রমেই দূষিত হয়ে উঠছে। এই পরিবেশদূষণ সারা বিশ্বের মানুষের দুশ্চিন্তার দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিবেশদূষণের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনজনিত যে সমস্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে, তা ভয়াবহ। ধারণা করা হচ্ছে, এই ভয়াবহতায় বেশি ক্ষতির শিকারে পরিণত হবে বাংলাদেশ।পরিবেশদূষণ: আমাদের এই পরিবেশ দুষণের জন্য মূলত মানুষই দায়ী। আধুনিক জীবনযাত্রার দিকে আমরা যত এগোচ্ছি, ততই আমরা পরিবেশদূষণের ক্ষেত্র তৈরি করছি। তবে বর্ধিত জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে গিয়েও দূষণ ঘটছে। প্রতিদিন বিভিন্নভাবে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—শব্দদূষণ, বায়ুদূষণ, পানিদূষণ, মাটিদূষণ প্রভৃতি।
শব্দদূষণ: শব্দদূষণ আজকাল পরিবেশদূষণের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যানবাহনের হর্ন ও শব্দ, রেডিও-টেলিভিশনের আওয়াজ, মাইকের আওয়াজ, কলকারখানার শব্দ ইত্যাদি শব্দদূষণের মূল উত্স। অসহনীয় মাত্রার শব্দদূষণে মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব এমনকি উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
বায়ুদূষণ: আমাদের বেঁচে থাকার অন্যতম উপাদান হচ্ছে বায়ু। বিভিন্নভাবে কার্বন ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, মিথেন ইত্যাদি বেশি মাত্রায় মিশে এই বায়ু দূষিত হচ্ছে। বেশি বেশি কলকারখানা স্থাপন এবং তা থেকে নির্গত কার্বন ডাই-অক্সাইড বায়ুতে মিশছে। এছাড়া ইটের ভাটার কালো ধোঁয়া, যানবাহনের অতি কালো ধোঁয়া এবং এর পাশাপাশি বৃক্ষ নিধন, বন উজাড়ও বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ।
পানিদূষণ: কলকারখানার বর্জ্য, রাসায়নিক বর্জ্য, ক্লিনিক্যাল বর্জ্য, জমিতে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের মিশ্রণ, পেট্রোলিয়াম পদার্থের মিশ্রণ ছাড়াও পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় আর্সেনিক দূষণ হচ্ছে পানিদূষণের অন্যতম কারণ। মনে রাখা দরকার, পানি জীবন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার অন্যতম উপাদান।
মাটিদূষণ: জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, নগর আবর্জনা, রাসায়নিক সার, কীটনাশক, শিল্প-আবর্জনা প্রভৃতি মিশে মাটিকে দূষিত করে। এ ছাড়া পচনহীন প্লাস্টিক ও পলিথিন মাটি দূষণের অন্যতম কারণ। মনে রাখা দরকার, মাটিই কিন্তু আমাদের জীবনধারণের উপকরণাদি জোগান দেয়।
দূষণের কারণ : ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদা মেটানো, বন ও বৃক্ষ ধ্বংস, অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও শিল্পায়ন পরিবেশদূষণের প্রধান কারণ। পরিবেশ যত দূষিত হবে, জীববৈচিত্র্য তত সমস্যার সম্মুখীন হবে।
পরিবেশদূষণ রোধের উপায়: বিশ্বব্যাপী পরিবেশদূষণের ভয়াবহতা কমিয়ে আনা এবং দূষণরোধে আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার। কারণ এটি আজ বিশ্ব আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।
উপসংহার: আমাদের এই পরিবেশ আমাদেরই রক্ষা করতে হবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব পরিবেশ সুরক্ষায় আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্বের সাথে সাথে নিজ নিজ অবলম্বন থেকে পরিবেশদূষণ রোধে কাজ করে যেতে হবে।
ষড়ঋতুর এই দেশ/বাংলাদেশের ঋতু
সূচনা: সুজলা-সুফলা, শস্যশ্যামলায় ভরপুর আমাদের দেশটি সত্যই সুন্দর। ঋতুবৈচিত্র্যের নতুন নতুন রূপে পালাবদল ঘটে দুমাস পরপর।ষড়ঋতুর পালাবদলে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপরূপ। বিভিন্ন ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন রূপ সৌন্দর্য আর কোথাও দেখা যায় না। তাই তো কবি বলেছেন,
‘বাংলার মুখ দেখিয়াছি আমি
পৃথিবীর রূপ দেখিতে চাই না আর’
ঋতু: ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। দুমাস নিয়ে একটি ঋতু। ঋতুগুলো হচ্ছে: গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরত্, হেমন্ত, শীত, বসন্ত।
গ্রীষ্ম: বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ নিয়ে গ্রীষ্মকাল। পুরোনোকে ফেলে নতুনের আহ্বান নিয়ে আসে এ ঋতু। প্রচণ্ড দাবদাহ দেখা দেয়। নানা ফলের পসরা সাজায় এ ঋতু। মাঝে মাঝে কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতিও হয়।
বর্ষা: চারদিকে থই থই পানিতে ভরে তোলে বর্ষা ঋতু। আষাঢ়-শ্রাবণ এ দুমাস নিয়ে বর্ষাকাল। কখনো একটানা দিন রাত, কখনো থেমে থেমে রিমঝিম বৃষ্টি নামে। বর্ষায় কদম-কেয়া ফোটে। এ সময় মাছ পাওয়া যায় প্রচুর। বর্ষা ময়লা-আবর্জনা ধুয়ে নিয়ে যায়।
শরত্: নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা ভাসায় শরত্ ঋতু। নদীর ধারে কাশফুল ফোটে। সাদায় সাদায় এক সুন্দর দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। ভাদ্র-আশ্বিন নিয়ে শরত্কাল।
হেমন্ত: নতুন ধানের নবান্ন উত্সবে মেতে ওঠে সবাই। কার্তিক-অগ্রহায়ণ নিয়ে হেমন্তকাল।
শীত: হিম ঠাণ্ডাকে নিয়ে আসে শীতকাল। পৌষ-মাঘ নিয়ে শীত ঋতু। প্রকৃতি জীর্ণ-শীর্ণ হয়ে যায়। খেজুরের রসে পায়েস-পিঠার উত্সবে মেতে ওঠে সবাই।
বসন্ত: গাছে গাছে কচি সবুজ পাতা ভরে যায়। মৌ-এর গুনগুনানি আর কোকিলের কুহুতান হূদয়ে জাগায় আনন্দ। বসন্ত ঋতুর রাজা।
উপসংহার: ছয় ঋতুর অপরূপ দৃশ্যে জেগে ওঠে মনে, এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে না’কো তুমি...।
JSC math suggestion ki dea jabe
ReplyDeletePEC পরীক্ষার পড়া বা সাজশন্স দাও।
ReplyDeleteFaltu
ReplyDelete