বাংলা ৫, ৬ ও ৭ নং প্রশ্নের উত্তর

পাঠ্যবইবহির্ভূত যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর প্রিয় পরীক্ষার্থী, বাংলা বিষয়ের ৫, ৬ ও ৭ নম্বর প্রশ্নগুলো থাকবে তোমার পাঠ্যবইয়ের বাইরের অনুচ্ছেদ থেকে। এ প্রশ্নগুলো সম্পূর্ণ যোগ্যতাভিত্তিক। আজ তোমাদের জন্য দেওয়া হলো একটি নমুনা অনুচ্ছেদ ও প্রশ্নোত্তর।
জামদানি কাপড় বুনছেন তাঁতিরা

# নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫, ৬ ও ৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
প্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশের মানুষ কাপড় বোনার জন্য বিখ্যাত। সেই সময় ঢাকার তৈরি মসলিন কাপড় ছিল সারা পৃথিবীতে সমাদৃত। বিশ্ববাজারে এই মসলিন কাপড়ের চাহিদা ছিল অভাবনীয়। চাহিদার কারণে ঢাকাই মসলিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হতো। এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হতো। কুটিরশিল্পের অন্তর্গত বাংলাদেশের তাঁতে তৈরি হওয়া টাঙ্গাইল শাড়ি, ঢাকাই শাড়ি ও রাজশাহী সিল্কের জনপ্রিয়তা এখনো চোখে পড়ার মতো। বাংলাদেশের তাঁতিরা এখনো রেশমি, জামদানি ও সুতির কাপড় বোনেন। এ ছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় তৈরি পাটজাতদ্রব্য, বাটিক, ছিটকাপড়, শতরঞ্জি, মাটির পাত্র ইত্যাদি বেশ জননন্দিত। ছিটকাপড় যেমন ময়মনসিংহের ঐতিহ্যকে ধারণ করে আছে, তেমনি রংপুর ও দিনাজপুর এলাকা শতরঞ্জির জন্য প্রসিদ্ধ। মসলিন, রেশম, তসর, গরদ, মুগা, মটকা, জামদানি, টাঙ্গাইল ও বালুচরি এ দেশের বিখ্যাত কাপড়। প্রাচীন মসলিনের মতো দেশে-বিদেশে এখনো ঢাকাই শাড়ির প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
৫। সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখো।
১. ওপরের অনুচ্ছেদটি মূলত কোন বিষয়ে লেখা?
ক. মৃিশল্প খ. কুটিরশিল্প গ. বেতশিল্প ঘ. বস্ত্রশিল্প
২. পৃথিবীর বাজারে কোনটির চাহিদা অভাবনীয় ছিল?
ক. মসলিনের খ. সুতি শাড়ির গ. মাটির পাত্রের ঘ. জামদানির
৩. শতরঞ্জি শব্দটির ‘ঞ্জ’ যুক্তবর্ণটিতে আছে—
ক. জ্+ঞ খ. ঞ্+জ গ. ন্+জ ঘ. ন্+ছ
৪. ছিট-কাপড় কোন জেলার ঐতিহ্যকে ধারণ করে আছে?
ক. রাজশাহীর খ. রংপুরের গ. ঢাকার ঘ. ময়মনসিংহের
৫. দেশে-বিদেশে কোন শাড়ির চাহিদা রয়েছে?
ক. পাবনাই শাড়ি খ. ঢাকাই শাড়ি গ. সিলেটের শাড়ি ঘ. রংপুরের শাড়ি।
৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
১. ঘ. বস্ত্রশিল্প ২. ক. মসলিনের ৩. খ. ঞ্+জ
৪. ঘ. ময়মনসিংহের ৫. খ. ঢাকাই শাড়ি।
৬। নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ করো।
শব্দ শব্দার্থ
যথেষ্ট প্রচুর
রপ্তানি বিক্রির জন্য পণ্যদ্রব্য বিদেশে প্রেরণ
সমাদৃত সমাদরপ্রাপ্ত
প্রসি"
বিখ্যাত
প্রাচীন পুরোনো
ক. আবুল সাহেবের — বিষয়-সম্পত্তি, তাই সংসার চালাতে কষ্ট হয় না।
খ. একসময় প্রচুর পাটজাত দ্রব্য বিদেশে — হতো।
গ. ঢাকাই মসলিন ছিল বিশ্বব্যাপী —।
ঘ. রংপুর ও দিনাজপুর এলাকা শতরঞ্জির জন্য —।
ঙ. — কাল থেকেই বাংলাদেশের মানুষ কাপড় বোনার জন্য বিখ্যাত।
৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
ক. আবুল সাহেবের যথেষ্ট বিষয়-সম্পত্তি, তাই সংসার চালাতে কষ্ট হয় না।
খ. একসময় প্রচুর পাটজাত দ্রব্য বিদেশে রপ্তানি হতো।
গ. ঢাকাই মসলিন ছিল বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।
ঘ. রংপুর ও দিনাজপুর এলাকা শতরঞ্জির জন্য প্রসিদ্ধ।
ঙ. প্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশের মানুষ কাপড় বোনার জন্য বিখ্যাত।
৭। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।
ক. বাংলাদেশে তৈরি কাপড় সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখো।
খ. ‘ঢাকার তৈরি মসলিন কাপড় ছিল পৃথিবীব্যাপী সমাদৃত।’ কথাটি পাঁচটি বাক্যে বুঝিয়ে লেখো।
গ. বাংলাদেশের তাঁতিদের তৈরি পাঁচটি বিখ্যাত কাপড়ের নাম লেখো।
৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
(ক)
প্রাচীনকালে বাংলাদেশের ঢাকায় তৈরি মসলিন কাপড় ছিল সারা পৃথিবীতে সমাদৃত। বিশ্ববাজারে এই মসলিনের চাহিদা ছিল অভাবনীয়। চাহিদার কারণে ঢাকাই মসলিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হতো। বাংলাদেশের তাঁতের তৈরি টাঙ্গাইল শাড়ি, ঢাকাই শাড়ি ও রাজশাহী সিল্ক খুবই জনপ্রিয়। প্রাচীন মসলিনের মতো দেশে-বিদেশে ঢাকাই শাড়ির চাহিদা এখনো চোখে পড়ার মতো।
(খ)
প্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশে তৈরি কাপড়ের সুনাম ছিল। এর মধ্যে ঢাকাই মসলিনের আকর্ষণ ছিল সবচেয়ে বেশি। ঢাকা শহরের অদূরে ডেমরা এলাকার তাঁতিদের এ অমূল্য সৃষ্টি এককালে দুনিয়াজুড়ে প্রবল আলোড়ন তুলেছিল। ঢাকার মসলিন শাড়ি ও কাপড় তত্কালীন মোগল বাদশাহদের বিলাসের বস্তু ছিল। ইংল্যান্ডের রাজপরিবারেও এর খ্যাতি ছিল। বাংলার বাইরে মসলিনের সুনাম ও জনপ্রিয়তাকে বোঝানোর জন্যই বলা হয়েছে, ঢাকার তৈরি মসলিন কাপড় ছিল পৃথিবীব্যাপী সমাদৃত।
(গ)
প্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশের মানুষ কাপড় বোনার জন্য বিখ্যাত। বাংলাদেশের তাঁতিদের তৈরি পাঁচটি বিখ্যাত কাপড় হলো: মসলিন, জামদানি, বালুচরি, তসর ও রেশমের শাড়ি।
শিক্ষক, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

Post a Comment