প্রিয় শিক্ষার্থী, আজ প্রাথমিক বিজ্ঞানের অধ্যায়-১৪ থেকে রচনামূলক প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো।
প্রশ্ন: প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর অধিক জনসংখ্যার প্রভাবগুলো লেখো।
উত্তর: মানুষের মৌলিক চাহিদা হচ্ছে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিত্সা। এসব চাহিদা অবশ্য পূরণ করতে হয়। আমাদের সীমিত সম্পদ নিয়ে অধিক জনসংখ্যার চাহিদা পূরণ সম্ভব হয় না। এ জন্য অধিক খাদ্য ফলানোর জন্য জমিতে রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। এর ফলে পানি দূষিত হয়ে মত্স্য সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে। তা ছাড়া বনজঙ্গল উজাড় করে বাসস্থানের জন্য ব্যবস্থা করতে গিয়ে চাষের জমি নষ্ট করা এবং বনজঙ্গল, পাহাড় ও গাছপালা কাটা হচ্ছে, ফলে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
এ ছাড়া বাড়তি জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে অতিরিক্ত কলকারখানা যানবাহন, ইটের ভাটা তৈরি করা হচ্ছে। এতে কালো ধোঁয়া পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে।
কাজেই বলা যায়, বাড়তি জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে।
প্রশ্ন: জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে?
উত্তর: জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরের ব্যবস্থা করতে নিচের পদক্ষেপগুলো নিতে হবে—
১. বিভিন্ন কর্মমুখী শিক্ষায় জনগণকে শিক্ষিত করতে হবে।
২. আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. ব্যবহারিক ও বাস্তবমুখী এবং কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে।
৪. উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে।
৫. কর্মদক্ষতা বাড়াতে হবে।
৬. উন্নত যন্ত্রপাতির উদ্ভাবন করতে হবে।
৭. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণা ও চর্চা করতে হবে।
প্রশ্ন: প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর জনসংখ্যার প্রভাব বর্ণনা করো।
উত্তর: প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর জনসংখ্যার প্রভাব নিচে দেওয়া হলো:
১. গত ৪০ বছরে বাংলাদেশে খাদ্য উত্পাদন প্রায় তিন গুণ বেড়েছে, তা সত্ত্বেও প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণ খাদ্য আমদানি করতে হচ্ছে। অধিক জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মেটানোর জন্য প্রতিবছর একই জমিতে একাধিকবার চাষ করা হয়। ফলে জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হচ্ছে। অধিক পরিমাণে ফসল উত্পাদনের জন্য প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে এগুলো পরিবেশ দূষিত করছে এবং মত্স্য সম্পদকে ধ্বংস করছে।
২. অধিক জনসংখ্যার আবাসন ও চলাচলের চাহিদা মেটানোর জন্য আবাদি ও অনাবাদি জমিতে বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট তৈরি করছে। বনজঙ্গল উজাড় ও গাছপালা কাটা হচ্ছে, ফলে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়।
৩. অধিক জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে খাল-বিল, নদী-নালা ভরাট করা হচ্ছে। ফলে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে প্রায় প্রতিবছর বন্যা দেখা দেয়।
৪. জনসংখ্যার যাতায়াতের সুবিধার্থে প্রচুর পরিমাণে গাড়ি রাস্তায় চলাচল করে এবং মানুষের জীবন-জীবিকা নির্বাহের তাগিদে এবং কর্মসংস্থানের চাহিদা মেটাতে প্রচুর কলকারখানা নির্মাণ করা হচ্ছে। এগুলো থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে।
এতে অধিক জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে মানবসৃষ্ট কর্মকাণ্ড পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
প্রশ্ন: প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর অধিক জনসংখ্যার প্রভাবগুলো লেখো।
উত্তর: মানুষের মৌলিক চাহিদা হচ্ছে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিত্সা। এসব চাহিদা অবশ্য পূরণ করতে হয়। আমাদের সীমিত সম্পদ নিয়ে অধিক জনসংখ্যার চাহিদা পূরণ সম্ভব হয় না। এ জন্য অধিক খাদ্য ফলানোর জন্য জমিতে রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। এর ফলে পানি দূষিত হয়ে মত্স্য সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে। তা ছাড়া বনজঙ্গল উজাড় করে বাসস্থানের জন্য ব্যবস্থা করতে গিয়ে চাষের জমি নষ্ট করা এবং বনজঙ্গল, পাহাড় ও গাছপালা কাটা হচ্ছে, ফলে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
এ ছাড়া বাড়তি জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে অতিরিক্ত কলকারখানা যানবাহন, ইটের ভাটা তৈরি করা হচ্ছে। এতে কালো ধোঁয়া পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে।
কাজেই বলা যায়, বাড়তি জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে।
প্রশ্ন: জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে?
উত্তর: জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরের ব্যবস্থা করতে নিচের পদক্ষেপগুলো নিতে হবে—
১. বিভিন্ন কর্মমুখী শিক্ষায় জনগণকে শিক্ষিত করতে হবে।
২. আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. ব্যবহারিক ও বাস্তবমুখী এবং কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে।
৪. উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে।
৫. কর্মদক্ষতা বাড়াতে হবে।
৬. উন্নত যন্ত্রপাতির উদ্ভাবন করতে হবে।
৭. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণা ও চর্চা করতে হবে।
প্রশ্ন: প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর জনসংখ্যার প্রভাব বর্ণনা করো।
উত্তর: প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর জনসংখ্যার প্রভাব নিচে দেওয়া হলো:
১. গত ৪০ বছরে বাংলাদেশে খাদ্য উত্পাদন প্রায় তিন গুণ বেড়েছে, তা সত্ত্বেও প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণ খাদ্য আমদানি করতে হচ্ছে। অধিক জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মেটানোর জন্য প্রতিবছর একই জমিতে একাধিকবার চাষ করা হয়। ফলে জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হচ্ছে। অধিক পরিমাণে ফসল উত্পাদনের জন্য প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে এগুলো পরিবেশ দূষিত করছে এবং মত্স্য সম্পদকে ধ্বংস করছে।
২. অধিক জনসংখ্যার আবাসন ও চলাচলের চাহিদা মেটানোর জন্য আবাদি ও অনাবাদি জমিতে বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট তৈরি করছে। বনজঙ্গল উজাড় ও গাছপালা কাটা হচ্ছে, ফলে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়।
৩. অধিক জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে খাল-বিল, নদী-নালা ভরাট করা হচ্ছে। ফলে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে প্রায় প্রতিবছর বন্যা দেখা দেয়।
৪. জনসংখ্যার যাতায়াতের সুবিধার্থে প্রচুর পরিমাণে গাড়ি রাস্তায় চলাচল করে এবং মানুষের জীবন-জীবিকা নির্বাহের তাগিদে এবং কর্মসংস্থানের চাহিদা মেটাতে প্রচুর কলকারখানা নির্মাণ করা হচ্ছে। এগুলো থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে।
এতে অধিক জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে মানবসৃষ্ট কর্মকাণ্ড পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
Post a Comment