৫ম অধ্যায়ঃ  জীবনের জন্য পানি 
পাঠ্য বইয়ের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ


১। গ্রিন হাউজ গ্যাসগুলো কী কী?
উত্তরঃ গ্রিন হাউজ গ্যাসগুলো হলো- কার্বন ডাইঅক্সাইড; কার্বন মনোক্সাইড; সিএফসি; মিথেন ও জলীয় বাষ্প।

২। শীতপ্রধান দেশে কী উদ্দেশ্যে গ্রিন হাউজ বানানো হয়?
উত্তরঃ শীতপ্রধান দেশে তীব্র শীতে গাছপালা টিকে থাকতে পারে না। কাচের বা প্লাস্টিকের তৈরি কোনো আবদ্ধ অংশের মধ্যে সবুজ শাকসবজি চাষ করার উদ্দেশ্য গ্রিন হাউজ বানানো হয়।



৩। গ্রিন হাউজ গ্যাস বায়ুমন্ডলে না থাকলে পৃথিবীতে কী হতো?
উত্তরঃ  কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন, জলীয় বাষ্প ইত্যাদি গ্রিন হাউজ গ্যাস। এসব গ্যাস না থাকলে পৃথিবী থেকে তাপ মহাশূনে যেত । ফলে পৃথিবী রাতের বেলার ভীষণ ঠান্ডা হয়ে পড়ত। তাই এ গ্যাসগুরো বায়ুমন্ডলে থাকা মানব সভ্যতার জন্য আশীর্বাদ।

পাঠ্য বইয়ের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ
১। গ্রিন হাউজ গ্যাসগুলো কী কী?
উত্তরঃ গ্রিন হাউজ গ্যাসগুলো হলো- কার্বন ডাইঅক্সাইড; কার্বন মনোক্সাইড; সিএফসি; মিথেন ও জলীয় বাষ্প।
২। শীতপ্রধান দেশে কী উদ্দেশ্যে গ্রিন হাউজ বানানো হয়?
উত্তরঃ শীতপ্রধান দেশে তীব্র শীতে গাছপালা টিকে থাকতে পারে না। কাচের বা প্লাস্টিকের তৈরি কোনো আবদ্ধ অংশের মধ্যে সবুজ শাকসবজি চাষ করার উদ্দেশ্য গ্রিন হাউজ বানানো হয়।
৩। গ্রিন হাউজ গ্যাস বায়ুমন্ডলে না থাকলে পৃথিবীতে কী হতো?
উত্তরঃ  কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন, জলীয় বাষ্প ইত্যাদি গ্রিন হাউজ গ্যাস। এসব গ্যাস না থাকলে পৃথিবী থেকে তাপ মহাশূনে যেত । ফলে পৃথিবী রাতের বেলার ভীষণ ঠান্ডা হয়ে পড়ত। তাই এ গ্যাসগুরো বায়ুমন্ডলে থাকা মানব সভ্যতার জন্য আশীর্বাদ।

স্পেশাল সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ
১। পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়াকে কী বলে?
উত্তরঃ পৃথিবীর তাপমাত্র বেড়ে যাওয়াকে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বলে।
২। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মূল কারণ কী?
উত্তরঃ বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মূল কারণ হলো কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি।
৩। পৃথিবীর চারদিকে ঘিরে আছে কোনটি?
উত্তরঃ পৃথিবীর চারদিকে ঘিরে আছে বায়ুমন্ডল।
৪। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ কী?
উত্তরঃ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ হলো বৈশ্বিক উষ্ণায়ন।
৫। বায়ুমন্ডলের কোন গ্যাসগুলো মানব সভ্যতার জন্য আশীর্বাদ?
উত্তরঃ   বায়ুমন্ডলের কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন ও জলীয় বাষ্প  গ্যাসগুলো মানব সভ্যতার জন্য আশীর্বাদ।
৬। পৃথিবী থেকে তাপ মহাশূণ্যে যেতে পারে না কেন?
উত্তরঃ বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন ও জলীয় বাষ্প থাকার ফলে পৃথিবী থেকে  তাপ মহাশূন্যে যেতে পারে না।
৭। কোন মাসে কালবৈশাখী দেখা যায়?
উত্তরঃ বৈশাখ মাসে।
৮। উষ্ণ ও আর্দ্র কোন দেশের জলবায়ু?
উত্তরঃ বাংলাদেশের।
৯। নবায়নযোগ্য জ্বালানি কোনগুলো?
উত্তরঃ সৌরশক্তি, বায়ুপ্রবাহ, জৈব জ্বালানি।
১০। কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে খাদ্য তৈরি করে কোনটি?
উত্তরঃ গাছ।
১১। কোন জ্বালানি ব্যবহার করলে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস নিঃসরণ কমে?
উত্তরঃ নবায়নযোগ্য জ্বালানি।
১২। গ্রিণ হাউজ বা ‘সবুজ ঘর’ কী?
উত্তরঃ শীতপ্রধান দেশে কাচের বা প্লাস্টিকের ঘর বানিয়ে সবুজ শাকসবজি চাষ করা হয়। একে সবুজ ঘর বলে।
১৩। জলবায়ু কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো স্থানের বহু বছরের  আবহাওয়া গড়কে জলবায়ু বলে।
১৪। বাংলাদেশের জলবায়ু কেমন?
উত্তরঃ বাংলাদেশের জলবায়ু উষ্ণ ও আর্দ্র।
১৫। বাংলাদেশের কোন দু’মাস সাধারণত শীত পড়ে?
উত্তরঃ বাংলাদেশে সাধারনত পেীষ ও মাঘ -এ  দু’মাস শীত পড়ে।
১৬। বাংলাদেশের কোন দু’মাস গরম পড়ে?
উত্তরঃ বাংলাদেশে সাধারণত বৈমাখ ও জ্যৈষ্ঠ এই দু’মাস গরম পড়ে।
১৭। কোন মাসে প্রতিবছরই কালবৈশাখী দেখা যায়?
উত্তরঃ সাধারণত বৈশাখ সাসে প্রতিবছরই কালবৈশাখী  দেখা যায়।
১৮। বিজ্ঞানীরা পরিমাপ করে কী দেখতে পেয়েছেন?
উত্তরঃ বিজ্ঞানীরা পরিমাপ করে দেখতে পেয়েছেন যে পৃথিবীর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
১৯। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কাকে বলে?
উত্তরঃ পৃথিবী ধীরে ধীরে গরম বা উষ্ণ হয়ে যাচ্ছে, পৃথিবীর তাপমাত্রা এভাবে বেড়ে যাওয়াকে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বলে।
২০। গ্রীণ হাউজ গ্যাসগুলো কী কী?
উত্তরঃ গ্রীন হাউজ গ্যাসগুলো হলোঃ
(র) কার্বন-ডাই-অক্সাইড
(রর) মিথেন ও
(ররর) জলীয়বাষ্প
২১। জলবায়ু পরিবর্তনের একটি কারণ লিখ?
উত্তরঃ জলবায়ু পরিবর্তনের একটি কারন নি¤œরুপঃ
 (ক) গ্রীণ হাউজ প্রভাব প্রক্রিয়া তাপমাত্রা বৃদ্ধি।
২২। অভিযোজন কী?
উত্তরঃ  জলবায়ু পরিবর্তনের সাখে সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়াকে অভিযোজন বলে।
২৩। গ্রীন হাউজ গ্যাস বায়ুমন্ডলে না থাকলে পৃথিবীতে কী থাকত?
উত্তরঃ গ্রীন হাউজ গ্যাস বায়ুমন্ডলে না থাকলে পৃথিবী রাতের বেলা ঠান্ডা হয়ে যেত।
২৪। বায়ুমন্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বাড়ার কারন কী?
উত্তরঃ বায়ুমন্ডলে কার্বন-ডাই -অক্সাইড বাড়ার কারণ জ্বালানী পোড়ানো।
২৫। গ্রীন হাউজ সাধারণত বাইরের পরিবেশ থেকে দেখতে কেমন? 
উত্তরঃ গ্রীন হাউজ সাধারণত বাইরের পরিবেশ থেকে গরম থাকে।

পাঠ্য বাইয়ের রচনামূলক প্রশ্ন ও উত্তরঃ
প্রশ্ন-১। গ্রিন-হাউজ কেন গরম থাকে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ শীতপ্রধান দেশে কাচ বা প্লাস্টিক দিয়ে ঘর বানিয়ে সবুজ শাকসবজির চাষ করা হয়। এ ধরনের ঘরকে গ্রিন হাউজ বলে।  কাচ বা প্লাস্টিক তাপ কুপরিবাহী । এ ধরনের ঘরে  সূর্যের তাপ প্রবেশ করে এবং পরবর্তীতে এ আবদ্ধ তাপ আর বাইরে যেতে পারে না। আবার বাইরের বাইরের ঠান্ডা  তাপ ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না। আবার বাইরের ঠান্ডাও সহজে ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না। ফলে গ্রিন হাইজ গরম থাকে।

প্রশ্ন-২। পৃথিবীকে কীভাবে  একটি গ্রিন হাউজের সাথে তুরনা করা যায়?
উত্তরঃ শীতপ্রধান দেশে  কাচ বা প্লাস্টিকের ঘর বানিয়ে সবুজ শাকসবজির চাষ করা হয় । এ ঘরকে গ্রিন হাউজ বা সবুজ ঘর বলে। কাচ বা প্লাস্টিক ঘরের ভিতর এভাবে তাপ থেকে যাওয়ার বিষয়টিকে গ্রিন হাউজ প্রভাব বলে।
পৃথিবীকে একটি গ্রিন হাউজের সাথে তুলনা করা যায়। কারণ পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের কার্বন ডাই-অক্সাইড, মিথেন ও জলীয় বাষ্প গ্রিন হাউজের বা কাচের বা প্লাস্টিকের মতো কাজ করে । এর  সূর্যতাপ পৃথিবীতে আসতে কোনো বাধা দেয় না । ফরে সূর্যের তাপে  পৃথিবী  উত্তাপ্ত হয়। কিন্তু এ গ্যাসগুরো পৃথিবী থেকে তাপ চলে যেতে  বাধা দেয়। ফলে রাতের বেলাও গরম থাকতে পারে । তাই পৃথিবীকে একটি গ্রিন হাউজের সাথে তুলনা করা যায়।

প্রশ্ন-৩। পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস বেড়ে যাওয়ার কারনগুলো ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ নিচে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস বেড়ে যাওয়ার কারন ব্যাখ্যা করা হলো-
ক) পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কলকারখানা ও যানবাহনের কয়লা, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়ানো হয়। এসব গ্যাস পোড়ানো   হয়। এসব গ্যাস পোগড়ানোর ফলে পরিবেশে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে।
খ) গাছপালা কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস শোষণ করে। কিন্তু নিবির্চারে গাছ কাটার ফলে পৃথিবীর বনভূমি উজাড় হচ্ছে। বন উজাড় করে ফেলার কারণে গাছ কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ কম করছে। ফলে বায়ুমন্ডেলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে।
গ) কার্বন ডাই-অক্সাইড সৃষ্টিরকারী বিভিন্ন বর্জ্য প্রতিনিয়ত খোলা বায়ুতে পোড়ানো হচ্ছে । ফরে বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে।

প্রশ্ন-৪। বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে কী কী  হতে পারে? আলোচনা কর।
উত্তরঃ   জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ বাংলাদেশ । কারণ বাংলাদেশের অধিকাংশ জায়গা সমুদ্র তীবরর্তী এবং সমুদ্র হতে এর উচ্চতা খুবই কম। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে মেরু অঞ্চলের ও পর্বতের চূড়ায় বরফ গলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে । বিজ্ঞানীদের ধারণা এভাবে তাপমাত্রা ও সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়তে থাকলে বাংলাদেশের  উপকূলীয় অঞ্চল সমুদ্রের জলে ডুবে যেতে পারে। সাগর থেকে নদীতে লোনা জল ঢুকে পড়তে পারে। এছাড়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন- বন্যা, ঘূর্ণঝড় ও জলোচ্ছ্বাস ঘন ঘন ঘটতে পারে।

প্রশ্ন-৫। জলবায়ু পরিবর্তন রোধে করনীয় আলোচনা কর।
উত্তরঃ জলবায়ু পরিবর্তন রোধে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ চেষ্টা করে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। তাই বৈশ্বিক উষ্ণায়নের দায়ী  কারণগুলো রোধ করতে পারলে জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করা যাবে। নিচে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে করণীয় বিষয়গুলো  আলোচনা করা হলো-
ক) বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণ বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই- অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি। কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসের নিঃসরণ পরিমাণ বৃদ্ধি। কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের নিঃসরণ কমানো বা কোনভাবে এদেরকে সরিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে জলবায়ুর পরিবর্তন রোধ করা যায়।
খ) কয়লা, পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়ানো বন্ধ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ( যেমন- সৌরশক্তি, বায়ুপ্রবাহ, জৈব জ্বালানি) ব্যবহার করলে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস নিঃসরণ কমে। তাই নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন ও ব্যবহারে উৎসাহিত করতে হবে।
গ) বিদ্যুৎ গ্যাস ইত্যাদির ব্যবহার কমানো বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইড কম উৎপন্ন হয়।
ঘ) বায়ুমন্ডলের কার্বন ডাই-অক্সাইড কমানোর জন্য বেশি করে গাছ লাগিয়ে বনায়ন সৃষ্টি করতে হবে । কারণ গাছ কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে খাদ্য তৈরি করে। এতে কার্বন ডাই-অক্সাইড বায়ুতে কমবে এবং জলবায়ুর পরিবর্তন রোধ করা যাবে।
ঙ) বিভিন্ন প্রকারে সিএফসি গ্যাস বের হয় এরকম যন্ত্রপাতি ব্যবহার কম করতে হবে।


যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন-১ঃ অভিযোজন বলতে কী বোঝায়? জনির দাদু বলছেন সে, দিন দিন আবহাওয়া খুব উষ্ণ হয়ে যাচ্ছে, আবহাওয়ার এ ধরনের পরিবর্তনের কারণ উল্লেখ কর।
উত্তরঃ জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে পরিবর্তনের ফরে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন উপায়ে জীবের টিকে থাকাকে অভিযোজন বরে । আবহাওয়ার এ ধরনের পরিবর্তনের মূল কারণ বায়ুমন্ডরে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ  বৃদ্ধি । পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশে করকারখানা ও যানবাহনের কয়লা, পেট্রোলিয়াম, ও প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়ানো হচ্ছে। এসব জ্বালানি পোড়ানোর ফরে  পরিবেশে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমান বেড়ে যাচ্ছে। একই শোষণ কম করছে। ফরে বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত এ কার্বন ডাই-অক্সাইডের বৃদ্ধির ফরে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রশ্ন-২ঃ বৈশ্বিক উন্নয়নের মূল কারণ কী? বায়ুমন্ডলে থাকা কার্বন ডাই-অক্সাইডে , মিথেন, জলীয় বাষ্প মানব সভ্যতার আশীবার্দ কেন?
উত্তরঃ বৈশ্বিক উন্নয়নের মূল কারণ হলো বায়ুমন্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, মিথেন, জলীয় বাষ্প সূর্য হতে আগত অধিক তাপশক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া কার্বন-ডাই-অক্সাইড, মিথেন, জলীয় বাষ্প বায়ুমন্ডলে না থাকলে পৃথিবী থেকে তাপ মহাশূন্যে চলে যেত। ফলে রাতের বেলায় প্রচন্ড ঠান্ডা হয়ে মানুষের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ত। এ কারণে বায়ূমন্ডলের এসব উপাদান মানব সভ্যতার জন্য আশীর্বাদ।

প্রশ্ন-৩ঃ গ্রিন হাউস প্রভাব কী? মেরুতে বরফ কমে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ শীতপ্রধান দেশে তীব্র শীত থেকে রক্ষা করার জন্য কাচ বা প্লাস্টিকের ঘর বানিয়ে সবুজ  শাকসবজি চাষ করা হয়। কাচের ঘরের ভিতরে এভাবে তাপ ধরে রাখার পদ্ধতিকে গ্রিন হাউস প্রভাব বলে।
পৃথিবীর তাপমাত্রা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে, একে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বলা হচ্ছে। যেহেতু তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে বরফ গলতে শুরু করে, তাই বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে মেরু অঞ্চলের বরফও গলতে শুরু করেছে।

প্রশ্ন-৪ঃ গাছপালা কীভাবে কার্বন ডাইঅক্সাইড বৃদ্ধি রোধ করে? কার্বন ডাই-অক্সাইড আমাদের জন্য আর্শীবাদ কেন?
উত্তরঃ গাছপালা সালোকসংশ্লেষণ প্রকিয়ায় খাদ্য উৎপাদন করে। আর সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য উৎপাদন করে। আর সালোকসংশ্লেষণর প্রধান কাঁচামাল হলো কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও পানি অর্থাৎ গাছপালা সালোকসংশ্লেষণের সময় বায়ুমন্ডল হতে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে। এভাবে গাছপালা বায়ুমন্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের বৃদ্ধি রোধ করে। বায়ুমন্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড সূর্য হতে আগত তাপশক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে। বায়ুমন্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস না থাকলে পৃথিবী থেকে তাপ মহাশূন্যে চলে যেত, ফলে পৃথিবী ভীষন ঠান্ডা হয়ে পড়ত। তাই কার্বন-ডাই-অক্সাইড আমাদের জন্য আশীর্বাদ।


Post a Comment