Tuesday, August 18, 2015

নবম শ্রেণির: জীববিজ্ঞান: Chapter XI: pollination, fertilization, fruit and seed transmission

প্রিয় শিক্ষার্থী, আজ জীববিজ্ঞান বিষয়ের ১১ নাম্বার অধ্যায়ের পরাগায়ন, নিষেক, ফল ও বীজের বিস্তরণ থেকে সৃজনশীল পদ্ধতির একটি নমুনা প্রশ্নোত্তর আলোচনা করব।
প্রিয় শিক্ষার্থী, আজ জীববিজ্ঞান বিষয়ের ১১ নাম্বার অধ্যায়ের পরাগায়ন, নিষেক, ফল ও বীজের বিস্তরণ থেকে সৃজনশীল পদ্ধতির একটি নমুনা প্রশ্নোত্তর আলোচনা করব।

নিচের চিত্র থেকে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

প্রশ্ন : ক. পরাগায়ন কাকে বলে?
প্রশ্ন : খ. নিষেক বলতে কী বোঝ?
প্রশ্ন : গ. চিত্রটি কিসের? ব্যাখ্যা কর।
প্রশ্ন : ঘ. উদ্ভিদের বংশবিস্তারে প্রদর্শিত চিত্রটির গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।

উত্তর : ক. পরাগায়ন : পরগাধানী থেকে পরাগরেণু স্থানান্তরিত হয়ে ফুলের গর্ভমু-ে পতিত হওয়াকে পরাগায়ন বলে।

উত্তর : খ. বিসদৃশ দুটি জননকোষ, অর্থাৎ স্ত্রীগ্যামেট তথা ডিম্বাণুর সঙ্গে পুংগ্যামেটের যৌনমিলনকে নিষেক বলে। নিষেকের ফলে ফুলের গর্ভাশয় ফলে পরিণত হয় এবং ডিম্বকগুলো বীজে পরিণত হয়। বীজ উদ্ভিদের বংশ রক্ষা করে। আর এই বীজ সৃষ্টি না হলে উদ্ভিদকুল বিলীন হয়ে যেত। অন্যভাবে বলা যায়, নিষেক না ঘটলে উদ্ভিদকুল বিলীন হয়ে যেত।
উত্তর : গ. প্রদর্শিত চিত্রটি পতঙ্গপরাগায়নের। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পতঙ্গ মধু আহরণকালে এক ফুলের পরাগরেণু অন্য ফুলে স্থানান্তর করে পরাগায়ন ঘটিয়ে থাকে। পতঙ্গের মাধ্যমে যে ফুলের পরাগায়ন ঘটে, তাদের পতঙ্গপরাগী ফুল বলে। সরিষা, তুলসী, অর্কিড, গোলাপ_ এগুলো পতঙ্গপরাগী ফুল। ফুলের বর্ণ ও গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে মধু সংগ্রহের জন্য ফুলে ঢোকার সময় পতঙ্গের দেহে পরাগরেণু লেগে যায়। এ পতঙ্গ মধু সংগ্রহের জন্য যখন একই প্রজাতির অন্য ফুলে ঢোকে, তখন এদের দেহে লেগে থাকা পরাগরেণু ওই ফুলের গর্ভমু-ে লেগে পরাগায়ন ঘটায়।

উত্তর : ঘ. বিচিত্র ধরনের উদ্ভিদ নিয়ে আমাদের এ উদ্ভিদ জগৎ। এই বিচিত্র ধরনের উদ্ভিদরাজি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ার মূলেই আছে উদ্ভিদের বংশবিস্তার। উদ্ভিদের বংশবিস্তারে প্রদর্শিত চিত্রটি (পতঙ্গপরাগায়ন) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উদ্ভিদের ফুলই এর প্রজনন অঙ্গ। ফুলের ভেতর পুংজননকোষ ও স্ত্রীজনন কোষ সৃষ্টি হয়। পতঙ্গ ফুলের বর্ণ ও গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে মধু সংগ্রহের সময় পরাগরেণু পতঙ্গের ডানা ও পায়ে লেগে যায়। এই পতঙ্গ যখন একই প্রজাতির অন্য ফুলে বসে, তখন ডানা ও পায়ে লেগে থাকা পরাগরেণু গর্ভমু-ে স্থানান্তরিত হয়ে পরাগায়ন ঘটায়। পরাগায়নের ফলে পুংজননকোষ ও স্ত্রীজননকোষের মিলনে জাইগোট তৃষ্টি হয়। এ জাইগোট থেকে ফল ও বীজ উৎপন্ন হয়। উদ্ভিদের ফল ও বীজ বিভিন্ন বাহকের মাধ্যমে অনেক দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে। বীজ উদ্ভিদের বংশ রক্ষা করে। কারণ, অনুকূল পরিবেশে এ বীজ থেকে নতুন চারাগাছ সৃষ্টি হয়। বীজ উদ্ভিদের বংশরক্ষার পাশাপাশি বংশ বৃদ্ধি করে। যদি বীজের সৃষ্টি না হতো, তাহলে উদ্ভিদ সম্প্রদায় বিলীন হয়ে যেত। বীজ সৃষ্টিতে প্রধান ভূমিকা রাখে পরাগায়ন ও নিষেক। পরাগায়ন না ঘটলে উদ্ভিদের প্রজনন বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে নতুন কোনো উদ্ভিদ জন্মাতে পারবে না। উদ্ভিদকুল ধ্বংসের মুখে পতিত হবে। সুতরাং, উদ্ভিদের বংশবিস্তারে এবং জীবের অস্তিত্ব রক্ষায় প্রদর্শিত চিত্রের (পতঙ্গপরাগায়ন) গুরুত্ব অপরিসীম। 

No comments:

Post a Comment